Bangla Serial

Ankush Hazra: ‘অতিরিক্ত ছ্যাবলামো করত, নেওয়া যেত না, চাকরি গেল’! ‘ডান্স বাংলা ডান্স’- এর সঞ্চালনা থেকে সরিয়ে দেওয়া হল অঙ্কুশকে

১১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে জি বাংলার ‘ডান্স বাংলা ডান্স’ সিজন ১২। অন্যান্য সিজনের মতো, এবারও বাংলার সেরার সেরা নৃত্যশিল্পীরা তাঁদের প্রতিভা সকলের সামনে তুলে ধরছেন এই স্টেজে। ১০ বছর পর ‘ডিবিডি’-তে মহাগুরু আসনে ফিরেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। বিচারক আসনে বসেছেন বলিউড অভিনেত্রী মৌনী রায় এবং দুই টলি নায়িকা শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় ও শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়।

প্রতিবারের মতো সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করছেন অঙ্কুশ হাজরা। পারফর্মেন্সের পাশাপাশি অঙ্কুশের হাসি, ঠাট্টা, জোকস বেশ মজে রাখে দর্শক ও বিচারকদের। অঙ্কুশের হাবভাব, হাস্যকর কথা একপ্রকার পছন্দই করেন সকলে। তবে আবার কিছুজন এটাকে অঙ্কুশের অতিরিক্ত মনে করেন, তাই হয়তো অঙ্কুশের কিছু কথায় খারাপ লেগেছে কারোর। আর তারফলেই শোতে আর দেখা যাচ্ছে না অঙ্কুশকে।

আর তাই দেখে বিচারক কিছুটা হতবাক, খোঁজ করছেন অঙ্কুশের। হঠাৎ কি হল অঙ্কুশের? তবে কি শো থেকে বের করে দিল অঙ্কুশকে। অঙ্কুশের বদলে মঞ্চে এসে দাঁড়িয়েছেন আমাদের মন্টু পাইলট। মন্টু পাইলট বলতেই যাঁর কথা মনে পড়ছে, তিনি হলেন অভিনেতা সৌরভ দাস। সিনেমা, ধারাবাহিক, সিরিজ- সবেতেই অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কিন্তু অঙ্কুশের বদলে তাঁর আসা কি মেনে নেবেন দর্শক?

যদিও অঙ্কুশ যে বিদায় নিয়েছে তেমন খবর কিন্তু নেই। হয়তো এটাও ছিল শো-এর একটা মজার পরিবেশ তৈরী করা। এবার হয়তো সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করবেন দুজনেই, অর্থাৎ অঙ্কুশ ও সৌরভ। উল্লেখ্য, নন ফিকশন এই শো পরিচালনা করছেন অভিজিৎ সেন। প্রতি শনি ও রবিবার রাত ৯.৩০ মিনিটে সম্প্রচারিত হয় ‘ডিবিডি’ সিজন ১২। এবার বহু জনপ্রিয় তারকারা আসছে ‘ডিবিডি’তে। এরমধ্যে কিছু তারকা গত বছর এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

গতবারের নৃত্য গুরু সৌমিলি বিশ্বাসও এসেছেন এই শো’তে। তিনি একাধারে একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রীও। এছাড়াও এসেছেন আরও কিছু পুরোনো এক পুরোনো ডান্স বাংলা ডান্সের অংশগ্রহণকারীরা। উল্লেখ্য, বাংলা রিয়্যালিটি শো-এর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় ‘ডান্স বাংলা ডান্স’। শহর থেকে শহরতলি বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ কঠিন লড়াইয়ের মধ্যে দিয়েও অংশ নেয় এই অনুষ্ঠানে। বিশেষ এপিসোড থেকে শুরু করে নানারকম চমকে মোড়া এক একটি পর্ব প্রতিবারই মন জয় করে দর্শকদের।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।