Bangla Serial

Gouri Elo: দৃশ্যে বাচ্চা হাসছে কিন্তু তার কোনও নড়ন-চরন নেই! ‘পুতুল আছে জানি তবু একটু এফেক্ট তো দেওয়া যায়’! খিল্লি করছে দর্শক

বাস্তব জীবনের থেকে একটু দূরে গিয়ে আধ্যাত্মিক কাহিনীতে মোড়া ‘গৌরী এলো’ ধারাবাহিক। ধারাবাহিক ‘গৌরী এলো’র ঈশান-গৌরী-র জুটি দর্শকদের বেশ প্রিয়। ধারাবাহিকে গৌরীর ভূমিকায় অভিনয় করছেন ‘ডান্স বাংলা ডান্স’ এর প্রতিযোগী ‘নবাগতা মোহনা মাইতি’। পাশাপাশি, ঈশান-এর ভূমিকায় রয়েছেন বিশ্বরূপ বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়। গল্পের শুরুর সময় দেখানো হয়, গ্রামের মেয়ে গৌরী আর শহরের ডাক্তারবাবু হল ঈশান।

গ্রামের চিকিৎসা কেন্দ্রে গিয়েই গৌরীর সঙ্গে ঈশানের আলাপ হয়। তারপর তাদের বিয়ে হয় ও গৌরী শহরে আসে। ঈশান-গৌরী একে অপরের সর্বদা ঢাল হয়ে থাকে। দুজনে শিব ও শক্তির উৎস। ঈশান মহাদেবের অংশ ও গৌরী কালির অংশ। গল্পকে দর্শকের সামনে রূপ দিতে কখনো হাই ভোল্টেজের ড্রামা তৈরী করা হয়, যা বহু ধারাবাহিকের দেখা যায়না। অনেকেই আবার এটাকে অতিরিক্ত নাটকীয়, লজিকবিহীন, ধর্মের নামে গোঁড়ামি বলে মনে করেন।

বেশ কিছুদিন গল্প এগোনোর পর লেখক ধারাবাহিকে ঈশানের মৃত্যু আনেন। পাশাপাশি আনা হল গৌরী-ঈশানের সন্তান ছোট্ট একটি সদ্যজাত মেয়ে, যার বয়স কিছু মাস হবে। যদিও পরে জানা যায়, ঈশান বেঁচে রয়েছে, সে মৃত্যুঞ্জয় বাবা নাম ফিরে এসেছে। অন্যদিকে ছোট্ট মেয়ের সাথে অনেকগুলি প্লট আনা হচ্ছে ধারাবাহিকে। আমরা জানি, ধারাবাহিকে গৌরী আর ঈশানের বিরুদ্ধে প্রথম দিন থেকেই চক্রান্ত করে এসেছেন শৈলজা।

হয়তো এই শৈলজা-এর জন্যই ঈশান এই বেশে রয়েছে। গৌরী বারংবার তাকে মনে করানোর চেষ্টা করলেও সে সর্বদা বলে যে সে ঈশান নয়, সে হল মৃত্যুঞ্জয় বাবা। ঈশানের সামনে পুরনো কথা বলে গৌরী। যদিও ঈশান ভুলে যাওয়ার নাটক করছে। সে নিজেকে গৌরির সামনে আনতে চায় না। আর সেটা গৌরীও ধীরে ধীরে বুঝতে পেরেছে। কিন্তু সে তবুও ইন্দ্রের মুখ থেকে সমস্ত সত্যি কথা জানার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। তাই ইন্ড্রার যতবারই তার থেকে দূরে যাওয়ার চেষ্টা করে চলেছে, ততবারই গৌরী তার কাছে যাচ্ছে।

এতো চেষ্টার পরও সব বিফলে যেতে গৌরী একান্তে তার সন্তানের কাছে কাঁদে। সে যখন ডাক্তারবাবুর নাম নেয়, তখন তার সন্তান হাস্তে শুরু করে, আর যখনই সন্ন্যাসী মৃত্যুঞ্জয়ের নাম করে তখন বাচ্চাটি কাঁদতে শুরু করে। আর তাতেই ফের গৌরির সন্দেহ হয়। তবে এই পর্ব দেখে ট্রোল শুরু হয়েছে ফের দর্শকদের। কেউ বলছেন, বাচ্চাটি হাসছে আবার কাঁদছে কিন্তু তার কোনো নড়ন চরণ নেই। বাচ্চাটি হয়তো সেখানে নেই, এদিকে ড্রামাটিক সাউন্ড দিয়ে এটা করেছে, আর তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।