Bangla Serial

Khelna Bari: দায়িত্ব নিয়ে জি বাংলা খেলনা বাড়ির ধ’র্ষ’ণ করেছে! টিআরপির বেহাল দশা নিয়ে খোঁচে বোম দর্শক! লিপ নিয়েই করলো ভুল?

এখন বাংলা টেলিভিশনে টিআরপি তালিকায় রাজত্ব করছে জি বাংলা (Zee Bangla)। এমনকী স্টার জলসার অনুরাগের ছোঁয়াকে (Anurager Chhowa) হারিয়ে শীর্ষ স্থানে দাপট দেখাচ্ছে জি বাংলার জগদ্ধাত্রী (Jagaddhatri)। প্রথম পাঁচটি স্থানের চারটিতেই এখন জি বাংলার দাপট। আর সেই জি বাংলার একটি ধারাবাহিক ক্রমশ চ্যানেলের ভুলে পিছিয়ে পড়ছে?

আন্দাজ করতে পারছেন কোন ধারাবাহিক? এই মুহূর্তে টেলিভিশনের পর্দায় যে সমস্ত ধারাবাহিক গুলি চলছে তার মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘খেলনাবাড়ি’। একটা সময় টিআরপি তালিকায় প্রথম পাঁচের মধ্যে দাপট দেখাতো এই ধারাবাহিকটি। জগদ্ধাত্রীর মতো এই টেলিভিশনের নায়িকাও কিন্তু ভীষণ রকম দাপুটে। যিনি বাঙালি দর্শকদের কাছে ‘লেডি রঞ্জিত মল্লিক’ তো আবার কারর কাছে ‘লেডি সিংহম’ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু চ্যানেলের একটি বিরাট বড় ভুলের কারণে জনপ্রিয় এই ধারাবাহিক ক্রমশ জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে। আর যা টিআরপি তালিকা দেখলেই স্পষ্ট।

উল্লেখ্য, এই ধারাবাহিকে নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করছেন নবাগতা টেলি অভিনেত্রী আরাত্রিকা মাইতি। এই ধারাবাহিকে তাঁর বিপরীতে নায়ক ইন্দ্র’র চরিত্রে অভিনয় করছেন ‘কে আপন কে পর’ খ্যাত অভিনেতা বিশ্বজিৎ ঘোষ। কিছুদিন আগেই ১৫ বছরের দীর্ঘ লিপ নিয়েছে ‘খেলনা বাড়ি’ ধারাবাহিকটি। একজন অল্প বয়সী যুবতী থেকে রাতারাতি মায়ের চরিত্রে পদার্পণ করেছেন এই ধারাবাহিকটির মূল নায়িকা। ১৮ বছর বয়সী অভিনেত্রীকে মেকআপের সাহায্যে কার্যত মধ্যবয়সী সাজানো হয়েছে‌। আর যা খুব ভালোভাবে মেনে নিতে পারেনি দর্শকরা। প্রথম থেকেই এই দীর্ঘ লিপের বিপক্ষে ছিলেন তাঁরা। এই ধারাবাহিক যে দর্শকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা হারিয়েছে তা টিআরপি তালিকা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহে টিআরপি তালিকায় অষ্টম স্থানে স্টার জলসার মেয়েবেলার সঙ্গে যুগ্মভাবে রয়েছে ধারাবাহিকটি। দর্শকরা বলছেন দীর্ঘ ১৫ বছরের লিপ নিয়ে মিতুলকে বড় বড় ছেলে মেয়ের মা বানিয়ে ধারাবাহিকটির ধ’র্ষ’ণ করে ছেড়েছে জি বাংলা। আর যার ফলে টিআরপি তালিকায় এই করুণ পরিণতি। ভক্তরা বলছেন রীতিমতো দায়িত্ব নিয়ে এই ধারাবাহিককে নষ্ট করেছে চ্যানেল। দর্শকদের বক্তব্য লিপ নেওয়ার আগে পর্যন্ত এই ধারাবাহিকের টিআরপি ছিল দেখার মতো।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।