Khelna Bari: নিজের সন্তানকে হারিয়েও বুকে পাথর রেখে গুগলিকে বড় করে তুলেছে, নিজের জীবন বাজি রেখেছে মিতুল! “সৎ মা মানেই বজ্জাত আর হাড়জ্বালানি হয় না”, চরিত্রে মুগ্ধ দর্শক

জি বাংলার এক জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘খেলনা বাড়ি’। বর্তমানে এই মেগা বেশ প্রিয় হয়ে উঠেছে দর্শকদের কাছে। উক্ত ধারাবাহিকে নায়িকা মিতুলের চরিত্রে অভিনয় করছেন জনপ্রিয় টেলি অভিনেত্রী আরাত্রিকা মাইতি। তাঁর বিপরীতে নায়ক হলেন ইন্দ্র, যিনি ‘কে আপন কে পর’ খ্যাত অভিনেতা বিশ্বজিৎ ঘোষ। নায়িকা মিতুলের চরিত্রটি বেশ প্রিয় দর্শকদের।

সম্প্রতি ‘খেলনা বাড়ি’ একলাফে এগিয়েছে বেশ কয়েক বছর, আর তারমধ্যেই বিদায় নিয়েছে ধারাবাহিকের এক অন্যতম সদস্য দেবকুমার। যার চরিত্রে অভিনয় করছেন সমীর বিশ্বাস। শুরু থেকেই আমরা দেখে এসেছি মিতুলের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর স্বভাব মুগ্ধ করেছে দর্শক। পর্দার দাপুটে নায়িকা মিতুল মুখের ওপর সর্বদা সত্যি কথা বলতে ভালোবাসে। আর এইভাবেই অল্পদিনেই পর্দার প্রতিবাদী মিতুল দর্শকদের কাছে খুবই প্রিয় উঠেছে।

মিতুল ইন্দ্রের আগের সন্তান গুগলিকে প্রথম থেকেই নিজের সন্তানের মতোই ভালোবেসে এসেছে। এমনকি তার নিজের ছেলে হওয়ার পর ছেলেকে হারিয়েছে মিতুল। সেই দুঃখ বুকে রেখেই গুগলিকে আগলে বড় করেছে সে। তার এই মমতা দর্শকদের মন কেড়েছে।

একজন নেটিজেন বলেন, “কিছু মানুষ আছে যারা শুধু খারাপ টাকেই ধরবে,, মিতুল এর মনে অনেক ভয় আর চিন্তা ছিল তার সন্তানকে নিয়ে যে কারণে সে হতাশার মধ্যেই অজান্তে গুগলি কে একটু বকে ছিল,,, কিন্তু তার একটু পরেই মিতুল এটা নিয়ে আফসোস ও করছিল কিন্তু এই এক সেকেন্ডের বকা তেই কিছু মানুষ বুঝে গেছে যে সৎ মা নাকি এমনই হয়,, কি আজব,, অথচ এই মিতুল গুগলির জন্য কি না করেছে,, কয়েকদিন আগেও সে তার পেটের সন্তান সহ বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়েছে শুধুমাত্র গুগলিকে বাঁচানোর জন্যে। সবাই যখন মিতুল কে বাধা দিচ্ছিলো তখন,,মিতুন বলেছিল, আমি আমার এক সন্তানকে বাঁচানোর জন্য আরেক সন্তান কে বিপদে ফেলতে পারি না,, এটাই মা”।

উল্লেখ্য, মিতুলের ছেলেকে হাসপাতাল থেকে চুরি করে অন্তরা। এরপরই ধারবাহিক লাফিয়ে এগোলো বেশকিছু বছর। গুগলি আর মিতুলের ছেলে বড়ো হয়ে গিয়েছে। আর মেয়ে গুগলির রোলে অভিনয় করছেন লালকুঠি সিরিয়ালের ‘জিনি’ আর মিতুলের ছেলের রোলে অভিনয় করছেন রাখি বন্ধন সিরিয়ালের ছোটো ‘বন্ধন’। যা জেনে বেশ উৎসুক দর্শকরা। প্রোমোতে দেখা যায়, মিতুলের সঙ্গে তার ছেলের দেখা হলেও মিতুল এখনও কিছু জানেনা।