Bangla Serial

Ichche Putul: মেঘের ওপর হওয়া অন্যায়ের প্রতিশোধ, সিঁদুর পরিয়ে দিলো সৌরনীল! “পাত্রী দিদি কিন্তু বোনকে বিয়ে করল এ কেমন পর’কীয়া?” ক্ষুণ্ণ দর্শক

জি বাংলা বছরের শুরু থেকেই হাজির হয়েছে নিত্য নতুন অনুষ্ঠান নিয়ে। জানুয়ারির শেষ থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে “ইচ্ছে পুতুল” (Ichche Putul) ধারাবাহিকটি। কিন্তু শুরু হওয়ার আগেই প্রোমো রিলিজ (Promo release) হওয়া মাত্রই প্রবল বিতর্কে জড়িয়ে যায় এই ধারাবাহিক। অনেকেই বলছেন, গল্পের প্লটের সঙ্গে একদম হুবহু মিল রয়েছে স্টার জলসার “ইচ্ছে নদী “র।

কারণ, ইচ্ছে নদীতেও দেখা গিয়েছিল ত্রিকোণ প্রেমের গল্প। দুই বোন একজনেরই প্রেমে পড়েছিল। এখানেও তাই। দিদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী শ্বেতা মিশ্র। আর এই ধারাবাহিকেও তাই হয়েছে। আর সেই দেখে দর্শকরা বলে উঠেছিলেন, “চুরি নয়, ডাকাতি করেছে জি বাংলা”। আবার অনেকে বলেছিলেন, “নতুন করে নাম দেওয়ার কী দরকার! ইচ্ছে নদী ২ দিয়ে দিতে পারত”।

তবে শুরু থেকেই বেশ ভালো মতো পসার জমিয়ে নিয়েছে ধারাবাহিক। কিন্তু রাত ১০ টার প্লট পাওয়ায় বিশেষ টি আর পি কুড়িয়ে নিতে পারে না। আর আমরা জানিই যে ধারাবাহিকের টি আর পির জন্য যেকোনও পর্যায়ে প্লট টুইস্ট এনে দিতে পারেন নির্মাতারা। আর এই প্লট টুইস্টই সম্প্রতি দেখা গেল এই ধারাবাহিকে।

যদিও গল্পের শুরু থেকেই জানি দুই বোন, মেঘ ও তার ওস্তাদ দিদি একজনেরই প্রেমে পড়েছেন। তিনি প্রফেসর সৌরনীল। আর মেঘের দিদি ময়ূরী কিন্তু খুব চনমনে। খুব একটা বোনের মনের খেয়াল রাখেন না তিনি। বরং দেখা যায় তার অনেক যত্ন করা হয়। এর কারণও অবশ্য প্রথম প্রমোতেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

ময়ূরী বাড়ির বড় মেয়ে হলেও দায়িত্ববান মেয়ে হচ্ছে মেঘ। কারণ ময়ূরী একটি মারণ রোগে আক্রান্ত, যেখানে ওকে ওর বোনের রক্ত দিয়েই বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। এরপর নতুন প্রমোতে দেখা যাচ্ছে মেঘের সঙ্গে সৌরনীলের বিয়ের মণ্ডপে মেঘ ও ময়ূরীর মা বাবা তাঁদের হবু জামাইকে শুভেচ্ছা বার্তা জানাচ্ছেন।

May be a close-up of 1 person and standing

কিন্তু তখন সৌরনীল স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে তাঁকে কেন ঠকানো হয়! কেন একবারও জানানো হয়নি তাকে যে মেঘের রক্তে ময়ূরী বেঁচে আছে। আর এরপরই গল্প টুইস্ট নিয়ে নেয়! সৌরনীলকে মেঘের মা মিথ্যে বলতে চাইলেও তাঁদের বাবা সত্যি জানিয়ে দেন। এরপরই মেঘকে সিঁদুর পরিয়ে দেন সৌরনীল। আর মেঘও চোখের জল নিয়ে বলে, “যার বেঁচে থাকা অন্যের জন্য সে কি নিজের জন্য কিছু চাইতে পারে?”

Titli Bhattacharya