Bangla Serial

Tomar Khola Hawa: একা মিতুল নয়, এবার ঝিলমিলও করবে পড়াশোনা! একা মিঠাই অশিক্ষিত হয়েই বসে রইল! এ কেমন বিচার জি বাংলার?

জি বাংলার ধারাবাহিক ‘তোমার খোলা হাওয়া’ বেশ পছন্দ দর্শকদের। সম্প্রতি নতুন ধারাবাহিক আসায় স্লট চেঞ্জ হয়েছে এই ধারাবাহিকের। বর্তমানে আবির আর ঝিলমিলের মিষ্টি-মধুর সম্পর্ক বেশ উপভোগ করছেন দর্শকরা। আমরা বর্তমানে এপিসোড এও দেখলাম আবির ঝিলমিলকে পড়াশোনা শিখিয়ে স্বপ্ন পূরণের কথা বলে।

এরআগে আমরা দেখেছি, মিতুলকেও ইন্দ্র তার স্বপ্ন পূরণের দিকে এগিয়ে দিয়েছে। তবে আমরা যে ধারাবাহিককে একটু বেশি পছন্দ করি, এবং যেখানেও আমরা এই একই পর্ব দেখতে অপেক্ষায় ছিলাম। সেখানে এখনও তার কিছু নমুনা পেলাম না।

এখানে যে ধারাবাহিকের কথা বলা হচ্ছে, সেটি হল জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মিঠাই’। প্রথমদিন থেকেই ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের মিঠাই ছিল দর্শকদের কাছে খুব প্রিয়। মিষ্টি বিক্রেতা হিসাবে মিঠাই-এর মোদক পরিবারে এন্ট্রি নেওয়া থেকে বৌ হয়ে আসা- সব মিলিয়েই দর্শকদের কাছে বরাবরই মিঠাই পছন্দের।

তার দুষ্টু-মিষ্টি কথা, ভাঙাচোরা ইংরেজি শব্দ- ধারাবাহিকের মিঠাই হয়ে উঠেছিল সকলের ঘরের মেয়ে। মোদক পরিবারেরও আদরের মেয়ে ছিল মিঠাই। দাদু তাকে আরও ভালো মিষ্টি শেখার কথা বলে আর সিড তাকে শিক্ষিত করার কথা বলে। সিড নিজে তাকে শিক্ষিত করে তুলবে, এমন কথা বলেছিল। পাশাপাশি মিঠাই-এর স্বপ্ন ছিল একদিন তার নিজের বড় মিষ্টির দোকান হবে। কিন্তু সময়ের গতিতে ধারাবাহিকের গল্প এগোয়।

ঝড়-ঝাপ্টা কাটিয়ে আবার খুশির আমেজ আসে, কিন্তু মিঠাই-এর পরিবর্তন লক্ষ করা যায় না। প্রতি ধারাবাহিকের কম বেশি স্ত্রীদের শিক্ষিত করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এখনও মিঠাই-তে সেই চেষ্টা করানো হচ্ছে না কেন? কেনই বা মিঠাই-এর স্বপ্নপূরণের দিকে লিখিকা নজর দিচ্ছে না? সে নিয়ে বহু প্রশ্ন এখন দর্শকদের মনে। পাশাপাশি অনেকে ক্ষিপ্তও হয়েছেন লেখিকার উপর।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।