আমরা সকলেই জানি মিঠাই তে অবশেষে হয়ে গেছে নীপা এবং রুদ্রের বিয়ে।কালকে গোডাউন এর মধ্যেই মোমবাতি দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে বিয়ের পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছিল মিঠাই আর হল্লা পার্টি। সেখানেই বিয়ে হলো রুদ্র আর নীপার। কাকিমা দৌড়ে এসেও আটকাতে পারেনি।
এরপর আজকের সবাই চলে আসবে রাজীবের বাড়িতে। সেখানেই বসবে বাসর রাত। কাকা দাদাই ঠাম্ম ি সকলেই সেখানে থাকবে। ঠাম্মি অর্থাৎ স্বাগতা বসু পন্ডিচেরি ঘুরে বেরিয়ে চলে এসেছেন। অনুরাধা সমরেশকেও দেখা যাচ্ছে রাজীবদের বাড়িতে। তাহলে মনে করা হচ্ছে যে সব কিছু মিটে গেছে কিন্তু কাকিমা কে কোথাও দেখা যাচ্ছে না।
তোরসা এসেছে কিন্তু সে যখন আবার বদমাইশি করতে যাবে তখন সিদ্ধার্থ খুব রেগে যাবে আর তাকে ভালো করে কথা শুনিয়ে দেবে। তোরসা বেজার মুখে দেখবে সবকিছুই অন্যদিকে কাকা গান ধরবে আর তারপরে সবাই মিলে নাচ করবে। কিন্তু এর মধ্যেই চলে আসবে সুলতার দাদার ফোন আর তিনি জানাবেন যে বোনকে পাওয়া যাচ্ছে না।
সকলেই খুব ভয় পেয়ে যাবে নীপা কান্নাকাটি শুরু করে দেবে। দাদাই ভেঙে পড়বে। কাকাকে যখন সমরেশ জিজ্ঞেস করবে তুই একা ছাড়লি কেন লতাকে? তখন সে জানাবে যে নতুন জামাই আসছে,সেখানে একজনকে তো থাকতেই হবে।রুদ্র সেই সময় তার একজন অফিসার কে দায়িত্ব দেবে কাকিমাকে খোঁজার জন্য এবং গাড়ির নম্বর দিয়ে দেবে।
তারপর সকলে মিলে মনোহরা চলে যাবে এবং দেখা যাবে রাজীবের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেই পুলিশ অফিসার ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে লতাকে।লতা এসে যখন চেয়ারে বসবে সবাই বোঝাবার চেষ্টা করবে যে রুদ্র নীপার জন্য একদম আদর্শ স্বামী। কাকিমা চুপ করে থাকবে।
তখন শেষ চেষ্টা করবে মিঠাই। মিঠাই অনেক করে কাকিমাকে বোঝাবে যে নীপা দিদি তো রুদ্রদাকে খুব ভালোবাসে আর রুদ্রদাও নীপা দিদি বলতে পাগল। মেনে নাও না কাকিমা। সিদ্ধার্থ তখন ইশারা করবে রুদ্রকে এগিয়ে দিতে। রুদ্র কাকিমার কাছে গিয়ে যখন কিছু বলতে যাবে তখনই ঘটবে সেই ঘটনা।
কাকিমা দুম করে উঠে চলে যাবে আর শেষ হয়ে যাবে আজকের এপিসোড। স্বাভাবিকভাবেই পরপর ছেলে মেয়ের বিয়ে হল তার অমতে, কাকিমার খারাপ লাগা স্বাভাবিক। আমরা যদি নীপার দিক থেকে বিচার করি তাহলে হয়তো কাকিমাকে ভিলেন মনে হবে কিন্তু যারা মা তারা ঠিক বুঝবেন। এখন কাকিমা রুদ্রকে মেনে নেবে সেটা তো আমরা সকলেই জানি। কিন্তু কবে মেনে নেবে সেটাই দেখতে হবে।
