Bangla Serial

বাস্তব জীবনে হল্লা পার্টির মতো দারুণ বন্ধুত্ব ‘খেলনা বাড়ি’র মিতুলদের মধ্যেও! দীর্ঘমেয়াদি হবে তো এই সম্পর্ক নাকি মিঠাইদের মতো ভেঙে যাবে ‘তৃতীয় ব্যক্তি’র কারণে? আশঙ্কায় ভক্তরা

জি বাংলার পর্দায় আজ থেকে দুবছর আগে শুরু হয়েছিল ধারাবাহিক মিঠাই। হৈ হুল্লোড়, মজা, আনন্দের এই মোদক পরিবার অতি সহজেই দর্শকদের মন জিতে নিয়েছিল।

নায়ক নায়িকা তো বটেই। পার্শ্ব চরিত্রের অভিনেতা অভিনেত্রীরাও দারুণ ভালোবাসা পেয়েছেন এই ধারাবাহিকের দর্শকদের থেকে। তোর্সা, নিপা, রাতুল, শ্রী প্রায় প্রত্যেকটি চরিত্রই দর্শকদের ভীষণ কাছের। বলা ভালো তাঁরা একত্রে হলেন হল্লাপার্টি। এই অভিনেতা অভিনেত্রীদের রিল এবং রিয়েল লাইফের বন্ড কিন্তু দারুণ মজবুত ছিল।‌

এই অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে কাজ করতে করতে অত্যন্ত কাছের এবং প্রিয় বন্ধু হয়ে ওঠেন। বিশেষ করে যদি একটি ধারাবাহিকের বেশিরভাগ অভিনেতাই সমবয়সী হয় তাহলে। একটা সময় মিঠাই ধারাবাহিকের বহু তারকাকেই একসঙ্গে বাইরে খেতে যেতে, ঘুরতে যেতে, একসঙ্গে সময় কাটাতে দেখা যেত।

যদিও সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এখন রিল লাইফে তাঁদের সম্পর্ক ভালো দেখানো হলেও রিয়েল লাইফে সম্পর্ক এখন একেবারেই ভালো নয় তাঁদের। সবার না হলেও কিছু কিছু সম্পর্ক ভেঙে গেছে। একটা সময় এই ধারাবাহিকের বিভিন্ন চরিত্র যেমন শ্রীতমা, নিপা, মিঠাই, নন্দা, সোম, সিদ্ধার্থ, সবাই একে অপরের খুবই ভালো বন্ধু ছিল। একসঙ্গে রিল বানানো থেকে আউটিং সর্বত্রই তাঁদের একসঙ্গে দেখা যায়।

এই ধারাবাহিক থেকেই আদৃত-কৌশাম্বীর প্রেমের সম্পর্কের গুঞ্জনও ছড়িয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের বেস্ট ফ্রেন্ড বলে কৌশাম্বীকে উল্লেখ করেছিলেন আদৃত। যদিও গুঞ্জন তাঁরা প্রেম করছেন। আর মিঠাই ধারাবাহিকের এই চরিত্রদের মতোই জি বাংলার অপর ধারাবাহিক ‘খেলনা বাড়ি’ অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও একে অপরের ভীষণ ভালো বন্ধু। বিভিন্ন জায়গায় একসঙ্গে আউটিং করতে দেখা যায় তাঁদের। সমবয়সী হলে যা হয়ে থাকে। যেমন পর্দায় লাহিড়ী বাড়িকে যৌথ পরিবার হিসেবে দেখানো হয় তেমন‌ই বাস্তব জীবনেও তাঁরা যৌথভাবেই থাকেন। মিতুল সম্প্রতি ঘুরতে যাওয়ার ছবি পোস্ট করে যেখানে মিতুল, কলি, পুলিশ অফিসার অলকা, শুভ সবাইকে দেখা গেলো এক ফ্রেমে। তাতেই ভক্তদের আশঙ্কা মোদক পরিবারের হল্লা পার্টির বাস্তবের এখনকার সম্পর্কের মতো লাহিড়ী বাড়িতে যেন বাস্তবে ভাঙন না ধরে।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।