Bangla Serial

Sid-Misti Bond: ‘মেয়েরাই বাবার কষ্ট বোঝে’! শুটিংয়ের ফাঁকেও “বাবাই” সিডের আহত পায়ের খেয়াল রাখছে ছোট্ট “অ্যাঞ্জেল”! মিষ্টির যত্ন-ভালোবাসা মুগ্ধ করল দর্শকদের

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মিঠাই’। ধারাবাহিকে মিঠাই-এর এন্ট্রি যেমন সাড়া ফেলেছে, ঠিক তেমনই মিষ্টির এন্ট্রিও খুশীর আমেজ তৈরী করেছে মোদক পরিবারে। মিঠাই-সিডকে একসঙ্গে দেখার অপেক্ষায় ছিল অনেকেই। মিঠাই ফিরতেই যেন আমোদপ্রবণ হয়ে ওঠে গোটা মোদক পরিবার। এক ছিল মিঠাই-সিডের ছেলে শাক্যের দৃষ্টুমি, এবার এল ছোট্ট মিষ্টি। দুই ভাই-বোনের অভিনয় মন জয় করে নিচ্ছে দর্শকদের।

মিষ্টি যে সিডেরই মেয়ে, তা জানার আগে থেকেই মিষ্টি প্রতি ছিল সিডের এক অদ্ভুত টান। যা সিডকে সেরা বাবার অ্যাওয়ার্ড পাইয়ে দেওয়াতে যথেষ্ট। ‘মিঠাই’ ধারাবাহিক থেকেই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়েছেন সিড অর্থাৎ জনপ্রিয় অভিনেতা আদৃত রায়। বং ক্রাশ তিনি সকল মেয়েদের। তবে এবার তিনি শুধু হিরো হিসেবে প্রিয় নন, একজন বাবা হিসেবেও প্রিয় হয়ে উঠছেন ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের কাছে।

এতদিন মা হারা শাক্যের প্রতি সিডের কনসার্ন আমরা সকলেই দেখেছি। এবার ছোট্ট মেয়ে মিষ্টির প্রতিও তার বাবার স্নেহ সকলকে মুগ্ধ করছে। এদিকে সেই মিষ্টির বাবা কিন্তু সিড নয়। তবুও শাক্য ও মিষ্টিকে যেভাবে ভালোবেসে যাচ্ছে সিড, তা অতুলনীয়। আর তাই দেখে বড় থেকে ছোট সবার ‘ড্রিম ফাদার’ হয়ে উঠছে মিঠাই-এর সিড অর্থাৎ উচ্ছেবাবু।

ঠিক যেমন মিষ্টির প্রতি সিডের ভালোবাসা, ঠিক তেমন সিডের প্রতি তার মেয়ের ভালোবাসা ধরা পড়ল ক্যামেরায়। বাবার কষ্ট যে মেয়েরা সবচেয়ে আগে বোঝে, তা বিনা সংলাপেই প্রকাশ পেল সম্প্রতি এক পর্বে। খেলতে গিয়ে সিডের পায়ে চোট লাগার জন্য মিষ্টির কষ্ট, পাশাপাশি বাবার প্রতি তার কেয়ার ভালোবাসা অতুলনীয় মুহূর্তের সৃষ্টি করে। তাদের দুজনের এই বন্ধন দেখে মুগ্ধ দর্শকরাও। শুটিংয়ের বাইরে নিজের অনস্ক্রিন বাবা আদৃতকে ধরে ধরে নিয়ে সোফায় বসালো মিষ্টি অর্থাৎ অনুমেঘা। সেই মুহূর্ত ভাইরাল এখন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

এক দর্শক এই মুহূর্তকে ঘিরে একটি সুন্দর পোস্ট করে লেখেন, “কথায় আছে মেয়েরা বাবার কষ্ট বোঝে,, এই ভিডিও টা তে তাই দেখলাম,, অনুমেঘা আদৃত-এর কষ্ট বুঝলো,,, বাবার হাত ধরে আস্তে আস্তে নিয়ে এসে সোফায় বসালো,,, এটা কিন্তু কোনো স্ক্রিপ্ট না। অনুমেঘা কিন্তু বুঝতে পেরেছে যে তার বাবাই এর খুব কষ্ট হচ্ছে দাঁড়াতে,, ছেলেটার পায়ে বিশাল ব্যাথা,,, তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠো”।

Piya Chanda