Mithai: মিঠাই একটা লক্ষী মেয়ে কিন্তু সমালোচনার জন্য মিঠাইকে মশলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়, সব টপিকেই থাকে মিঠাই! কেন এমন ভয়ঙ্কর অভিযোগ তুললো সৌমীতৃষা?

এই মুহূর্তে মিঠাই ধারাবাহিকে অনুষ্ঠানের পর্ব চলছে। বাড়ির সব থেকে ছোট এবং অবিবাহিত সদস্য নিপার বিয়ের আয়োজন হচ্ছে। ফলে এখন নতুন চমক আনা হলো ধারাবাহিকে।

তবে এসবের ফাঁকেই ধারাবাহিক নিয়ে এবং নিজের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে বেশ কিছু অজানা বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরলো মিঠাই অর্থাৎ সৌমীতৃষা কুণ্ডু। এক সাক্ষাৎকারে নায়িকা এই নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ এবং অজানা কথা তুলে ধরেছে।

অন্যদিকে নিজের বড় জায়ের সঙ্গে মিঠাইয়ের অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি নিয়ে মুখ খুললো নায়িকা। জানিয়েছে ও টিপিকাল খলনায়িকা নয়। সংসারের খারাপ চায় না সে। কিন্তু মিঠাইকে দমিয়ে রাখতে চায় সব সময়।

এবার এই মুহূর্তে সবথেকে ধামাকেদার প্রমো নিয়ে মুখ খুলল মিঠাই। দেখানো হয়েছে মিঠাইয়ের বুকে গুলি লাগবে এবং সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যাবে। এই নিয়ে মিঠাই জানায় যে আসলে মিঠাই পরিবারের সেরকমভাবে খারাপ কোন বিষয় দেখানো হয় না। তাই একটা সাসপেন্স দেখানো হলো যাতে একটা আকর্ষণ তৈরি হয় দর্শকদের মনে ধারাবাহিকের প্রতি। একপ্রকার ক্রাইসিস তৈরি করা।

অন্যদিকে আরেকটি সিরিয়াস বিষয় দেখানো হচ্ছে যে সিড এবং মিঠাইয়ের মধ্যে একটা ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে তারা প্রতিজ্ঞা করেছিল কখনো আলাদা হবে না তাই বাস্তবে তারা কখনোই আলাদা হবে না কিন্তু এটা একটা দেখানোর বিষয় যে কী করে আবার দুজন এক হতে পারে। তাই সিড-মিঠাই মুহূর্তগুলো আবার সৃষ্টি হবে কিন্তু তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে, এমনটাই জানিয়েছে নায়িকা।

সৌমী জানিয়েছে কাজের থেকে বেশি সমালোচিত হয়েছে সে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারপরেই মিঠাই নামটা হয়ে গেল লক্ষ্মী। কারণ এতদিন ধরে ধারাবাহিক টিআরপির দিক দিয়ে শীর্ষস্থানে রয়েছে অন্যান্য ধারাবাহিককে পিছনে ফেলে। তবে নায়িকা জানায় নেগেটিভ আলোচনার জন্য যে সমালোচিত হয়েছে এমনটা নয় বরঞ্চ সমালোচনা করার জন্য তাকেই মূল কেন্দ্রবিন্দু করে তোলা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে টিআরপি নিয়ে আলোচনা করা হলে সে জানায় মাঝে মাঝে টিআরপি কমে যায়। কিন্তু এটা তাদের পক্ষে ভালো কারণ তাদের মধ্যে ভালো ভালো কিছু করার জেদ চেপে যায়। ফলে তাদের নিজেদের উন্নতি হয় এর ফলে।

এরপরে নায়িকাকে প্রশ্ন করা হয় তার ডায়েট নিয়ে যে এত রোগা হয়ে যাচ্ছে কেন? উত্তরে সে জানায় আগে মিষ্টি খেতে খুব ভালোবাসে কিন্তু এখন আর মিষ্টি খেতে পারে না ফিগার ঠিক রাখার জন্য। মনোহরাতে এত ধরনের মিষ্টি তৈরি হয় কিন্তু একটাও সে ছুঁয়েও দেখে না। কিন্তু চিট ডে মাঝে মাঝেই সপ্তাহে একটার জায়গায় দুটো হয়ে যায়।

এরপর মিঠাই জানিয়েছে গল্পের প্রয়োজনে সে একটা ভালো জিনিস শিখেছে সেটা হল স্কুটি চালানো। এর জন্য একসময় এসে পড়ে গেছিল বাস্তবে এবং তার ফলে রীতিমতো হাতে কালশীটে পড়ে গিয়েছিল।