Bangla Serial

Mithai vs Mitul: অনেকেই চেয়েছিল মিঠাইয়ের শিক্ষিত হওয়া দেখতে কিন্তু ট্র্যাক আসেনি, আর মিতুল মেয়ের সঙ্গেই পড়বে! “মিঠাই জি বাংলাকে অনেক কিছু দিয়েছে জি বাংলার উচিত মিঠাইকে সম্মান করা”! রেগে গেলো ভক্ত

প্রথমদিন থেকেই ‘মিঠাই’ (Mithai) ধারাবাহিকের মিঠাই দর্শকদের মনে জায়গা করে নেয়। মিষ্টি বিক্রেতা হিসাবে মিঠাই-এর মোদক পরিবারে এন্ট্রি নেওয়া থেকে বৌ হয়ে আসা- সব মিলিয়েই দর্শকদের কাছে বরাবরই পছন্দের মিঠাই (Mithai) অর্থাৎ অভিনেত্রী সৌমিতৃষা (Soumitrisha Kundoo)। দুষ্টু-মিষ্টি কথা, ভাঙাচোরা ইংরেজি শব্দের মধ্যে দিয়ে ধারাবাহিকের মিঠাই হয়ে উঠেছিল সকলের ঘরের মেয়ে।

Mithai Sid

মোদক পরিবারেরও আদরের মেয়ে ছিল মিঠাই। দাদু তাকে আরও ভালো মিষ্টি শেখার কথা বলে আর সিড তাকে শিক্ষিত করার কথা বলে। সিড নিজে তাকে শিক্ষিত করে তুলবে, এমন কথা বলেছিল। পাশাপাশি মিঠাই-এর স্বপ্ন ছিল একদিন তার নিজের বড় মিষ্টির দোকান হবে। কিন্তু সময়ের গতিতে ধারাবাহিকের গল্প এগোয়। ঝড়-ঝাপ্টা কাটিয়ে আবার খুশির আমেজ আসে, কিন্তু মিঠাই-এর পরিবর্তন লক্ষ করা যায় না।

এদিকে খেলনা বাড়ির মিতুল পড়াশোনা করছে। কিন্তু মিঠাই এতো জনপ্রিয় হওয়া সত্ত্বেও ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকে আনা হল না এই স্লট। যা দেখে বেশ অসন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন ধারাবাহিকের ভক্তরা। দু’বছরের বেশি সময় ধরে চলছে ‘মিঠাই’। এমনকি মিঠাই-সিডের ছেলে শাক্যের জন্মের পর ছেলের স্কুলে ভর্তির সময়ও মিঠাই ইংরেজি না বলতে পারায় সমস্যায় পড়তে হয় শাক্যকে।

mitul 1

সকলেই ভেবেছিল মিঠাই একদিন তার স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু তা হতে দেখা যায়নি। এরপরই মিঠাই-এর মৃত্যু হয়, আর তারপর নতুন করে মিঠাই সেই একইরূপে ফিরে আসে। যেখানে দেখায় সে সকল স্মৃতি ভুলে একজনের বাড়িতে মিষ্টি তৈরী করছে। মিঠাইকে কাজে লাগিয়ে তারা মিষ্টির দোকান চালাচ্ছে। আর তা দেখেই বেশ চ্যানেলের উপর অসন্তুষ্ট হয়ে পড়ে দর্শক।

সম্প্রতি এক ‘মিঠাই’ ভক্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে লেখেন, কি অদ্ভুত দুটোই জি বাংলা প্রোডাকশন এমন সময় এসেছিল অনেকেই বলেছিল মিঠাইকে শিক্ষিত করতে মিঠাই যেন পড়াশুনা করে কিন্তু এই ট্র্যাক মিঠাই আনেনি,,,কিন্তু খেলনা বাড়ির মিতুল পড়াশোনা করছে। আমার মনে হয় মিঠাই জী বাংলাকে অনেক কিছু দিয়েছে জি বাংলারও উচিত মিঠাই কে একটু সম্মান করা,,, প্রোমো নেই প্রমোশন নেই তবুও স্লটলিড করে যাচ্ছে প্রতি সপ্তাহে,,”।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।