Bangla Serial

একটা ছদ্মবেশ শেষ হতে না হতেই আর একটা সাজ! টিআরপি পেতে সেই মিঠাইয়ের কপি করল মিতুল! ‘এই পাবলিকদের জাদুঘরে রাখা উচিত’, হচ্ছে চরম খিল্লি

ইন্দ্রকে বাঁচাতে একের পর এক রূপ ধারণ করছে মিতুল। কখনও টপ জিন্স সানগ্লাস পড়ে মডার্ন সাজছে, আবার কখনও রাজস্থানের ড্রেস পড়ে নাচছে। বর্তমানে প্রতিটি ধারাবাহিক টিকে রয়েছে টিআরপির উপর। যে ধারাবাহিকের টিআরপি যত বেশি, সেই ধারাবাহিকের স্থায়ীকাল তত বেশি। আর তাই এই টিআরপি বাড়ানোর চেষ্টায় বর্তমানে সমস্ত ধারাবাহিক একপ্রকার যেন যুদ্ধে নেমেছে। আর সেই যুদ্ধে জেতার জন্য একের পর এক টুইস্ট আনছে ধারাবাহিকগুলো। পাশাপাশি ধারাবাহিকেও আসছে নানান নতুন মুখ।

এমনই একটি ধারাবাহিক হল জি বাংলার ‘খেলনা বাড়ি’। সম্প্রতি ধারাবাহিক নিয়েছে বড় লিপ। বড় হয়ে গিয়েছে গুগলি। পাশাপাশি আমরা এও জেনেছি, মিতুল ও ইন্দ্রের ছেলে ‘আদর’ নিখোঁজ। তবে এতদিনে জানা গিয়েছে, পাড়ার দুষ্টু ছেলে শিবাই তাদের ‘আদর’। আর সেই আদরকে নিখোঁজ করেছিল নকল অন্তরা। আদরকে দূরে রেখে মিতুল আর তার পরিবারের শত্রু হিসাবে বড় করতে চেয়েছিল আদরকে।

আসল অন্তরাকে মেরে এসেছে তার যমজ বোন। আর সেই নিতে চায় অন্তরার নামে থাকা সকল সম্পত্তি। এখন সেই সম্পত্তি মিতুলের। আর তাই আদর আর গুগলি দুজনকেই মিতুল আর ইন্দ্রের বিরুদ্ধে করে নকল অন্তরা। এমনকি আদরের হাতে মিতুল সহ গোটা পরিবারকে শেষ করানোরও উদ্দেশ্য ছিল অন্তরা আর রণের। নানাভাবে তাদের সমস্যায় অসফল হওয়ার পর এবার আরও বড় ফাঁদ পাতলো রণ।

আর সেই ফাঁদে পা ফেলল ইন্দ্র। ইন্দ্রের সকল সম্পত্তি নিতে মিতুলের সাথে ইন্দ্রর ডিভোর্স করানোর জন্য প্রথমে জোর করল রণ। এরপর মিতুলকে ইন্দ্রের জীবন থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে অসফল হলে ইন্দ্রকে মিথ্যা দোষ চাপিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দেয়। মিতুল পুলিশকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করলেও পুলিশ না ছাড়লে মিতুল ছেলের বেশে নিজেকে দোষী প্রমাণিত করে ইন্দ্রের সাথে একই কারাগারে ঢোকে।

mitul and mithai

এরপরই জেল থেকে বেরিয়ে ইন্দ্রকে বাঁচাতে মিতুল ধারণ করল এক এক ধরণের রূপ। কখনও টপ জিন্স সানগ্লাস পড়ে মডার্ন সাজছে, আবার কখনও রাজস্থানের ড্রেস পড়ে নাচছে। এবার সেই রাজস্থানের ড্রেস নিয়েই শুরু হল ট্রোল। অনেকেই বলে, ‘মিঠাই’এর থেকে সেই ড্রেস চুরি করেছে ‘খেলনা বাড়ি’। এবার ট্রোলারদের ধুয়ে দিল এক দর্শক। তিনি বলেন, কস্টিউম কারোর নিজের নয় জি প্রোডাকশনের। ‘মিঠাই’এর নিজস্ব নয়। তাই চুরির করার কথা এখানে আসছেই না। এসব বোকা বোকা কমেন্ট না করাই ভাল। এইসব কম্যান্ট করা পাব্লিকগুলিকে জাদুঘরে রাখা উচিত!

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।