Bangla Serial

Neem Phuler Modhu: বাংলা সিরিয়ালের ইতিহাসে প্রথমবার, সফল পর্ণার নাইটি বিদ্রোহ! ঠাম্মা, জেঠি, জা সবাইকে নাইটি পরিয়ে ছাড়লো! তবে শাশুড়িকে কাবু করতে পারবে কি?

বাংলা টেলিভিশনে এখন ভিন্ন ধারার, আকর্ষণীয় গল্পে ভরপুর ধারাবাহিক হল জি বাংলার পর্দায় সম্প্রচারিত ধারাবাহিক ‘নিম ফুলের মধু।’ এই ধারাবাহিকটি অতি সহজেই দর্শকদের হৃদয় জিতে নিয়েছে। এই ধারাবাহিকের মূল চরিত্রে রয়েছেন পল্লবী শর্মা (Pallavi Sharma), ও রুবেল দাস(Rubel Das)। একই সঙ্গে নেগেটিভ চরিত্রে দারুণ অভিনয়ে নজর কাড়ছেন অভিনেত্রী অরিজিতা মুখোপাধ্যায়।

উল্লেখ্য, জি বাংলার এই ধারাবাহিকটি শুরু হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই দর্শকদের মনে পাকাপাকিভাবে জায়গা করে নিয়েছে। বাস্তবধর্মী ও ব্যাতিক্রমী ধারাবাহিকের তকমা পেয়েছে এই জনপ্রিয় ধারাবাহিকটি। নিত্যদিন‌ই এই পরিবারের অচলায়তনকে ভেঙে চলেছে পর্ণা। নাগাড়ে দত্ত পরিবারের একের পর এক নিষেধাজ্ঞাকে ভেঙে দত্তবাড়িতে খোলা হাওয়ার প্রবেশ ঘটাচ্ছে সে।

যৌথ পরিবারের ভাঙন আটকানো থেকে ঠগ, জোচ্চোরের সঙ্গে নিজের ননদের বিয়ে আটকানো সবক্ষেত্রেই মাত দিয়েছে পর্ণা। এরইমধ্যে দত্ত বাড়িতে এক নতুন বিদ্রোহ ঘটিয়ে ফেলে পর্ণা। আর তা হল নাইটি বিদ্রোহ। দত্ত বাড়িতে বিবাহিত প্রত্যেক মহিলাই শাড়ি পরে থাকেন। পর্ণাও তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু আধুনিক জীবন যাপন আধুনিক মানসিকতায় বিশ্বাসী পর্ণার চিন্তা, শিক্ষা, জীবনযাত্রাও ছিল অন্যরকম। বিয়ের আগে অবশ্যই সে শাড়ি পরে থাকত না। আর তাই চৈত্র-বৈশাখের এই তীব্র গরমে যখন নাজেহাল সবাই সেখানে মেয়েরা শাড়ি, ব্লাউজ পরে গরমে কষ্ট পাচ্ছে তা মেনে নিতে পারেনি সে।‌‌ আর যেখানে গরমে যেখানে ছেলেরা স্যান্ডো গেঞ্জি পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

IMG 20230420 WA0015

আর তাই দত্তবাড়ির মহিলাদের গরম থেকে মুক্তি দিতে সে সবার জন্য নিয়ে আসে নাইটি। যথারীতি এই কাজে বেগড়া দিয়েছেন বড় জ্যেঠু। মেজাজ দেখিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘দত্ত বাড়ির মেয়ে-বউরা নাইটি পরেনা।’ জ্যেঠুকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দত্ত বাড়ির মেয়ে-বউদের নাইটি পরিয়ে ছেড়েছে পর্ণা। ঠাম্মি, জেঠি, বড় জা, মৌমিতা সবাই নাইটি অঙ্গে চাপিয়েছে। শুধু ব্যতিক্রম পর্ণার শাশুড়ি। যিনি কোনমতেই পর্ণার সামনে মাথা নোয়াবেন না। এবার দেখার নিজের শাশুড়িকে কাবু করতে পারবে কিনা পর্ণা।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।