Bangla Serial

Soumitrisha Kundoo: শুরু হয়ে গেছে দেবের সঙ্গে ‘প্রধান’- এর শুটিং! ফ্লোর থেকে ঝলক শেয়ার করলেন সৌমীতৃষা

৩১শে মে শেষদিন ছিল মিঠাই’এর শুটিং-এর। মনখারাপ তাই গোটা টিমের। কিছু শুরুর জন্য কিছু শেষ প্রয়োজন, আর সেটাই মেনে নিয়ে গোটা মিঠাই টিম তাদের শেষ দিনের শুটিং-এ ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আর তারমাঝেই মিঠাই টিমের মেম্বারদের দেখার জন্য উপচে পড়েছিল ভক্তদের ভিড়। প্রায় ৩ বছর ‘মিঠাই’এর বয়স। জানা গিয়েছে, টিভিতে লাস্ট সম্প্রচার হবে ৪ই জুন। ২০২১ এর জানুয়ারি মাসে শুরু হয় এই ‘মিঠাই’।

শেষের পথে এগোলেও টেলিভিশনের পর্দায় শেষদিন পর্যন্ত রমরমিয়ে চলবে এই সিরিয়াল। ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে প্রথমদিন থেকে গ্রামের মিষ্টি মেয়ে মিঠাই বাঙালির হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। ধারাবাহিক শেষে এবার বড় পর্দায় দেবের বিপরীতে ফিরছেন সৌমীতৃষা। যদিও তিনি জানান, ৬ মাস পর তিনি ফের ফিরবেন ছোট পর্দায়। ‘মিঠাই’এর শেষদিনে ভক্তদের থেকে প্রচুর ভালোবাসা পেয়েছেন সৌমী। শেষমেশ চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি।

ইতিমধ্যে দেবের সঙ্গে সেই ছবির শুটিং শুরু হয়ে গিয়েছে। ফ্লোর থেকে একটি ছোট রিল করেন তিনি। যেখানে মিষ্টি মিঠাই’কে যেন আরও মিষ্টি লাগছে। যেভাবে মিঠাই’এর শুটিং হাসিমুখে করেছেন। একাজও ঠিক সেভাবেই করছেন। ভক্তরা এখন অপেক্ষায় কবে তাঁকে বড় পর্দায় দেখতে পাবেন। ভক্তদের কাছে আজ তিনি যে জায়গায় এসে পৌঁছেছেন তার জন্য করতে হয়েছে তাঁকে কঠিন পরিশ্রম। ‘মিঠাই’ তাঁর প্রথম ধারাবাহিক ছিল যা এতো জনপ্রিয় হয়েছে।

আর তাঁর এই কঠিন পরিশ্রমই তাঁকে আজ এখানে এসে দাঁড় করিয়েছে। অভিনয় জগতে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করার জন্য ও ধারাবাহিককে দর্শকদের মনে ঠাঁই পাওয়ার জন্য একসময় তিনি সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলেন। বারাসাতে তাঁর নিজের বাড়ি। কাজের চাপে সেখানেও যেতে পারেননি বহুদিন। আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা নেই বহুদিন। কটা ধারাবাহিকের প্রতিদিনের সময়সীমা ৩০ মিনিট। কিন্তু সেই ৩০ মিনিটকে ফুটিয়ে তুলতে প্রতিজনকে সারাদিন পরিশ্রম করে যেতে হয়।

জানা গিয়েছে, দেবের বিপরীতে তাঁকে দেখা যাবে। সৌমীতৃষা ‘মিঠাই’তে আসার আগেই এই সিনেমায় আসার জন্য কথা হয়। মিঠাই, দেব অভিনীত ছবির নাম ‘প্রধান’। একেবারে পারিবারিক ছবি এটি। দেব-সৌমীতৃষা ছাড়াও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অগাস্ট থেকেই শুরু ‘প্রধান’-এর শুটিং, আগামী শিতেই মুক্তি পাবে ছবিটি। প্রথম ছবিতেই দেবের বিপরীতে, যা ভেবে মিঠাই একদিকে খুবই আনন্দ পাচ্ছে, আবার নার্ভাসও হচ্ছে।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।