Bangla Serial

Jalsha vs Zee: ‘ষ্টার জলসা’র থেকে ‘জি বাংলা’ অনেক এগিয়ে! জি বাংলা অন্তত প্রোমো দেয়, টিআরপিতে যেগুলো এগিয়ে তাকে গুরুত্ব দেয়! স্টার জলসা একটা “জঘন্যতম” চ্যানেল! জলসার হাল দেখে হাসছে জি দর্শকরা

বর্তমানে বহু ধারাবাহিক ইতির খাতায় নাম লিখিয়েছে। টিআরপির অভাবে পুরোনো ধারাবাহিকের বদলে এসেছে নতুন ধারাবাহিক। আবার কিছু ধারাবাহিক বছর বছর চলছে দর্শকদের চাহিদায়। তবে এই ধারাবাহিক তাদের স্থান ধরে রাখতে তখনই পারবে যখন দর্শকদের মনে তারা জায়গা করে নিতে সম্ভব হবে।

দর্শকদের মন জাগাতে গল্পে নয়া টুইস্ট, অভিনয়, রোম্যান্টিকতা, চমৎকার প্রোমো- এসবই প্রয়োজন। স্টারজলসায় এরূপ কিছু জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল- অনুরাগের ছোঁয়া, এক্কা-দোক্কা, গাঁটছড়া, আলতা ফড়িং, গুড্ডি, পঞ্চমী প্রভৃতি। এরমধ্যে ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ এ সপ্তাহে টিআরপির তালিকায় শ্রেষ্ঠ স্থান দখল করেছে।

তবে ধারাবাহিকের ভালো মুহূর্ত নিয়ে যেমন প্রশংসা হয়, ঠিক সেরম ট্রোলও কম করা হয় না। একটু ফাঁক থাকলেই তা নিয়ে ট্রোল শুরু হয় নেট দুনিয়ায়। এবার সামনে এল ষ্টার জলসা পুরো চ্যানেলটির নাম বদনাম। দর্শকরা এই চ্যানেলটিকেই আর ভালো চোখে দেখছে না। তাদের অভিযোগ চ্যানেলটি ভালো ভালো ধারাবাহিকের প্রমোশনই করে না।

ধারাবাহিকের জন্য ষ্টার জলসা ও জি বাংলা বিশেষ জনপ্রিয়। আর সেই ষ্টার জলসার উপরই এল অভিযোগ। প্রতিপক্ষ চ্যানেল এর থেকে অনেক ভালো বলে দাবি দর্শকদের। এরূপ অভিযোগ নিয়ে এক নেটিজেন সোশ্যাল মিডিয়ায় তার বক্তব্য পোস্ট করেছেন। তাঁর দাবি, “অনেক চ্যানেল দেখেছি। কিন্তু স্টার জলসার মতো জঘন্যতম দুটো চ্যানেল দেখিনি। যেখানে টিআরপি নিয়ে এত লড়াই। সেখানে প্রায় সিরিয়ালের ই কোন প্রমোশন নেই”।

তিনি নির্দিষ্ট ধারাবাহিকের নাম করে বলেন, “প্রথমত, ‘গাঁটছড়া’! যাও একটা প্রমো দিল, সেই প্রোমোর পেজে কোন নাম গন্ধ নেই! যেখানে এত কঠিন প্রতিপক্ষর সাথে সুপার প্রাইমে বসে লড়ে যাচ্ছে নীরবে।দ্বিতীয়, ‘এক্কাদোক্কা’! মানে এই নামের যে কোনো সিরিয়াল হয় চ্যানেলে সেটা একেবারেই ভুলে গেছে চ্যানেল! না প্রোমো না প্রমোশন। তৃতীয়ত, ‘আলতা ফড়িং’! মূল প্লট হিসাবে এখন ধারাবাহিক লিপ নিল!কিন্তু কোনো প্রমো নেই। চতুর্থত, ‘বাংলা মিডিয়াম’! সবাই জানে যে বাংলা ধারাবাহিক এর ধামাকা টিআরপি আসে বিয়েতে!কিন্তু ফালতু চ্যানেল কোনো প্রোমো দেয়নি।সব দিক থেকে বিচার করলে প্রতিপক্ষ চ্যানেল আর যায় হোক প্রোমো উইথ প্রমোশন দুটো দিকেই অনেকটা এগিয়ে”।

Titli Bhattacharya