Bangla Serial

Mukut Actress: “দু’বছর আমি একটা ব্ল্যাক হোলের মধ্যে আটকে ছিলাম”! নিজের জীবনের এক অন্য লড়াইয়ের গল্প শোনালেন “মুকুট” সিরিয়ালের মুখ্য অভিনেত্রী

এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় রোজই কোনও না কোনও ধারাবাহিকের গমন আগমন লেগেই রয়েছে। রীতিমতো একে অপরের সঙ্গে জোর প্রতিযোগিতায় নেমেছে স্টার জলসা(Star Jalsha) ও জি বাংলা(Zee Bangla)। দু’টি চ্যানেলে নাগাড়ে এসে চলেছে একাধিক নতুন নতুন ধারাবাহিক। আসলে বাংলা টেলিভিশনের জন্মকাল থেকেই বাঙালি দর্শকদের বিনোদনের(Entertainment) অন্যতম মাধ্যম হল বাংলা ধারাবাহিক। আর তাই দর্শকদের মনোরঞ্জনে সদা তৎপর চ্যানেল।

বর্তমানে ট্রেন্ড অনুযায়ী টিআরপি তালিকায় ভালো কিছু করে দেখাতে না পারলে সরে যেতে হবে আপাতত এই প্রথাই চলছে টেলিভিশন জুড়ে। বাঙালির সিরিয়াল প্রেমের তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন সব সিরিয়াল। তবে এখন এক একটি ধারাবাহিকের মেয়াদ খুব বেশি হলে ছয়-সাত মাস। ‘মিঠাই’, ‘গাঁটছড়া’র মতো কিছু ধারাবাহিক এক, দুই বছরের গন্ডি পেরিয়েছে। যদিও সম্প্রতি একাধিক চ্যানেলে বিভিন্ন সিরিয়াল বন্ধ হয়ে চালু হয়েছে একাধিক নতুন সিরিয়াল‌। কিন্তু তা সত্ত্বেও কোথাও গিয়ে বাঙালির সিরিয়াল প্রেমে খামতি আসেনি।

যেমন জি বাংলার পর্দায় শুরু হ‌ওয়া ধারাবাহিক ‘মুকুট।’ এই ধারাবাহিক দিয়ে আবার‌ও ছোটপর্দায় ফিরেছেন অভিনেত্রী শ্রাবণী ভূঁইয়া। আর এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে আবার‌ও ছোটপর্দায় ফিরেছেন বাংলা টেলিভিশনের আর‌ও এক জনপ্রিয় অভিনেত্রী ইন্দ্রাক্ষী নাগ। বেশ অনেকদিন পর আবার‌ও ছোট পর্দায় দেখা গেছে এই অভিনেত্রীকে। ২০১০ সালে জি বাংলার পর্দায় সম্প্রচারিত হত ধারাবাহিক ‘সাত পাঁকে বাঁধা’। এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল ঐন্দ্রীলা আর বিক্রম। আর সেই সঙ্গে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল আর‌ও একজন তিনি হলেন ইন্দ্রাক্ষী।

কে আপন কে পর, মহাপীঠ তারাপীঠ, রানী রাসমণি, ময়ূরী, দ্বিরাগমন, ধারাবাহিকে সাফল্যের সঙ্গে অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী। সম্প্রতি একটি ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন দীর্ঘ ২ বছর ব্ল্যাক হোল বা অন্ধকার গর্তের মধ্যে পড়েছিলেন তিনি। হাতড়াচ্ছিলেন সবকিছু কিন্তু বের হ‌ওয়ার পথ পাচ্ছিলেন না। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ২০২০ সাল থেকে ২০২২সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত এই ব্ল্যাকহোলে আটকে ছিলেন তিনি।

Screenshot 2023 04 11 19 19 19 15 f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329

তিনি জানিয়েছেন, মন, শরীর সব ভেঙে গিয়েছিল তাঁর। ছিলনা পাশে দাঁড়ানোর মতো কোন‌ও মানুষ। ব্যাঙ্কে ছিল না কোন‌ও অর্থ। শুধুমাত্র নিজের সমস্ত শক্তিকে একত্র করে লড়াই চালিয়ে গেছেন তিনি। আর এই কঠিন সময় তাঁকে মানসিকভাবে শক্ত হতে সাহায্য করেছে বিভিন্ন মোটিভেশনাল স্পিকারের বিভিন্ন বক্তব্য। তাঁদের কথা শুনে নিজেকে পরিবর্তন করেছেন তিনি। তাঁদের মতো করে ভাবতে শিখেছেন। আর যা তাঁর ব্যক্তি জীবনে আমূল পরিবর্তনে এনেছে।

সোশ্যাল মাধ্যমে তাঁর অ্যাকাউন্ট প্রাইভেট। যেখানে আজকাল সবাই একটু কিছু করলেই নিজেদের পেজ খুলে ফেলছেন সেখানে এতদিন ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে সোশ্যাল মাধ্যম সম্পর্কে এতটা উদাসীন কেন তিনি? অভিনেত্রীর কথায় তিনি মনে করেন না এখনও বলার মতো কোন‌ও কাজ তিনি করেছেন। বা তাঁর কাজ কারর অনুপ্রেরণা হতে পারে। অভিনেত্রী বিশ্বাস করেন জীবনে বাঁচা শুধুমাত্র নিজের জন্য নয়। তোমার জন্য যদি কোন‌ও একজনের একদিন বা একটা মুহূর্ত‌ও যদি ভালো হয়ে ওঠে সেটাই হচ্ছে জীবনে প্রকৃত অর্থে বাঁচা। আর সেই কারণেই সোশ্যাল মাধ্যমের এই কচকচানি থেকে বহু দূরে তিনি। তাঁর মতে যদি জীবনে কোনদিনও প্রকৃত অর্থে আমার মনে হয় যে আমি বলার মত কিছু করেছি তবেই সোশ্যাল মাধ্যমে সবার সামনে আসব তার আগে নয়।

Ratna Adhikary