Bangla Serial

Soumitrisha Adrit: কেন সম্পর্কে আসতে পারল না আদৃত-সৌমীতৃষা? স্বভাবেই তো আকাশ-পাতাল তফাৎ! কে সেরা বিচার করুন এবার

আড়াই বছর আগে শুরু হয়েছিল ‘মিঠাই’ টিমের যাত্রা। অবশেষে শেষের দিনটা চলেই এল। ৩১ মে হবে শেষ হল শুটিং। স্বাভাবিক ভাবেই মন খারাপ সকলের। তবে নতুনকে স্বাগত জানানোর জন্য পুরোনোকে বিদায় জানাতেই হয়। আর তাই হাসিমুখেই বিদায় জানাচ্ছেন মিঠাই টিমের সকল সদস্য। শুধুই মিঠাই বা সিদ্ধার্থ নয় শ্রীনন্দা, শ্রীতমা থেকে তিস্তা- প্রতিটা চরিত্র পেয়েছে সমান জনপ্রিয়তা। পাশাপাশি সিডের ঠাকুমা- ঠাকুরদার চরিত্রও পেয়েছে অনেক ভালোবাসা।

ফলে প্রত্যেককেই খুব মিস করবেন দর্শক। ‘মিঠাই’ সিরিয়ালের বিখ্যাত বাড়ি ‘মনোহরা’ সেট ভাঙার ছবি প্রকাশ্যে আসতে মন খারাপ হয়েছিল তাঁদের ভক্তদের। এবার ‘মিঠাই’ বিদায় নিল। দর্শকদের ইচ্ছা ছিল ‘মিঠাই’এর আরও কিছু পর্ব দেখার। কিন্তু তা আর হল না। তবে ‘মিঠাই’ ভক্তদের জন্য সুখবর। ‘মিঠাই’ শেষ হলেও, খুব শীঘ্রই আসছে ‘মিঠাই ২’। হয়তো সেখানে বড় হয়ে যাবে মিষ্টি ও শাক্য। তবে কি আর আদৃত ও সৌমীতৃষাকে একসঙ্গে দেখতে পাবেন দর্শকরা?

তার উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি। তবে ‘মিঠাই ২’ আসার কথা বললেন সিডের ঠাম্মি স্বাগতা বসু। ‘মিঠাই’এর শেষ দিনের শুটিং-এ এক সাক্ষাৎকারে এমন কথাই বললেন তিনি। মিঠাই’তে কাজ করা কালীন আর কোথাও তিনি কাজ করেননি। যদিও সুযোগ পাননি, তেমনটা নয়। তবে ‘মিঠাই’তেই পুরোপুরি ফোকাস দিয়েছেন তিনি। তাই ‘মিঠাই’ শেষ হওয়ার দুঃখটা তাঁর অনেকটাই। তবে কিছু শুরু হতে গেলে কিছু শেষের প্রয়োজন।

এবার তিনি মিঠাই ও সিডকে নিয়েও কিছু কথা বললেন। তুলে ধরলেন তাঁদের মধ্যে থাকা পার্থক্যগুলো। ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে দুজনেই খুব জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। তবে সেই জুটিকে একসঙ্গে আবার দেখা যাবে কিনা, তা নিয়ে রয়েছে সন্দেহ। তবে এই ধারাবাহিক গেথে গিয়েছে সকলের মনে। দুই জনপ্রিয় তারকা একে অপরের থেকে যদিও অনেক আলাদা। আর সে কথাই তুলে ধরলেন তাঁদের ঠাম্মি। বললেন মিঠাই-এর ও আদৃতের কিছু সুপ্ত চরিত্র।

ঠাম্মি জানান, মিঠাই খুবই পরিশ্রমী একজন অভিনেত্রী। কাজে সর্বদা ফোকাস তাঁর। খুব মিষ্টি মেয়ে সর্বদা হাসিখুশিতে থাকেন তিনি। তবে আদৃত একটু আয়েশি। যদিও তাঁর বেড়ে ওঠাটা একটু অন্যরকম। আর তাই তাঁর স্বভাবটা একটু এরকম। তবে আদৃত সকলকে খুব সম্মান দিয়ে কথা বলেন, ছোট থেকে বড় সকলকেই তিনি সম্মান দেন।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।