Bangla Serial

Jagadhatri: “জগদ্ধাত্রী উৎসবকে ছেড়ে দাও” বলে উঠলো স্বয়ম্ভূ! পরিবার না কর্তব্য কোন দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হবে জগদ্ধাত্রীকে? ধর্মসংকটে নায়িকা

জনপ্রিয়ের তালিকার লিস্টে রয়েছে ধারাবাহিক ‘জগদ্ধাত্রী’। দর্শকদের বেশ পছন্দের এই ধারাবাহিক। ধারাবাহিকে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন অঙ্কিতা মল্লিক, যিনি অল্প সময়ের মধ্যেই দর্শকদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়েছেন। এক অন্যধরণের গল্প নিয়ে শুরু এই সিরিয়াল টিআরপিতেও দারুণ ফলাফল করেছে। পাশাপাশি ধারাবাহিকে নায়িকার চরিত্রেও রয়েছে এক অন্যরকমের ধাঁচ।

বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে সেরা বাংলা সিরিয়ালের তকমা পেয়েছে ‘জগদ্ধাত্রী’ ধারাবাহিক। ইতিমধ্যে নায়িকার অ্যাকশনধর্মী প্লট দর্শকদের কাছে বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। প্রথম থেকেই একজন গৃহিণীর পাশাপাশি জ্যাজ় হয়ে দুষ্টের দমন এবং শিষ্টের পালন করে চলেছে জগদ্ধাত্রী। আর এরফলেই টিআরপি তালিকায় রমরমিয়ে চলেছে ‘জগদ্ধাত্রী’।

জগদ্ধাত্রীর চরিত্রে কেবল সংলাপ বলা নয়, মুখভঙ্গীর কৌশল কিংবা চোখার ভাষা নয়, অঙ্কিতাকে রীতিমতো অ্যাকশন করতে দেখা গিয়েছে এই ধারাবাহিকে। বর্তমানে সিরিয়ালে তাঁর দুটি রূপ – একটি, সে বাড়ির বউ ও অন্যটি, পরিচয় গুপ্ত রাখা ‘জ্যাজ়’। সে তার স্বামীর সাথেই সমস্ত রহস্য সমাধান করে। অর্থাৎ পুলিশের কাজ করেন।

যারা ধারাবাহিকটি দেখেন তারা জানেন, বেশ কিছুদিন ধরে জগদ্ধাত্রীর বোনের স্বামী উৎসবকে হাতেনাতে ধরতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন ‘জগদ্ধাত্রী’। আর তবেসেখানেই এল নতুন ট্যুইস্ট। একটি প্রমো দেখে গুলিবিদ্ধ জগদ্ধাত্রীকে দেখে প্রিয় নায়িকাকে হারানোর ভয় পেতে শুরু করে দর্শক। প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে উৎসবের সামনে জগদ্ধাত্রী। দুজনে দুজনের দিকে বন্দুক দেখিয়েছে। আর এর মাঝেই হঠাৎ উৎসব গুলি করবে। যে গুলি এসে লাগবে জগদ্ধার্থীর দেহে। আর সেখানেই প্রোমোটি শেষ হচ্ছে। কিন্তু পরে সেরম কিছু হয়না।

সেই গুলি জগদ্ধাত্রীর গায়ে লাগেনি, বরং উৎসব ধরা পরে যায়। আর তারপরই সমস্যা তৈরী হয়। উৎসব ভাই বলে জগদ্ধাত্রীকে ছেড়ে দিতে বলে স্বামী সয়ম্ভু। তবে জগদ্ধাত্রী তা চায় না। সে স্বামীর কাছে শর্ত রাখে, যে সয়ম্ভুকে জগদ্ধাত্রী বা ভাই উৎসবের মধ্যে একজনকে বেছে নিতে হবে। এরপর সয়ম্ভু কি সিদ্ধান্ত নেবে? তা যদিও জানা যায়নি। তবে আস্তে চলেছে এক বড় ধামাকা। কিন্তু সেই ধামাকার প্রমো দেয়নি জী বাংলা। আর তাতেই খেপে দর্শক। একজন তো লেখেন, ‘হতচ্ছাড়া জী বাংলা তো প্রমো দেবে না তাই আমিই দিলাম’।

Mouli Ghosh