Bangla Serial

TRP: ভাঁড়া’মি আর অঙ্কুশের ফাজ’লামি দেখিয়েও টিআরপি পেলো ড্যান্স বাংলা ড্যান্স! অনুরাগের ছোঁয়া ডাঁহা ফেল! চমক দেওয়ার মতো টিআরপি ফলাফল

বৃহস্পতিবার এলেই উঠে আসে দর্শকদের টেনশন কারণ এই দিনেই সামনে আসে সিরিয়ালগুলোর ফলাফল। স্কোর কার্ড সামনে আসা নিয়ে চিন্তায় এবং উত্তেজনায় অপেক্ষার তর সয় না ভক্তদের। আজ যদিও ফলাফল প্রকাশিত হয় না কারণ সেটা সাধারণত বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হয়। কিন্তু এই সপ্তাহে গতকাল ছিল বুদ্ধ পূর্ণিমা আর সেই কারণে টিআরপি ফলাফল সামনে আসেনি।

আজ সেই ফল এলো সামনে। তাতে অবাক করা ফল। প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থান সত্যি অবাক করার মতো। এই ফলাফল যে স্টার জলসা ভক্তদের মুখে চুনকালি মাখিয়েছে সেটা নির্দ্বিধায় বলা যায়। এদিকে বুক চওড়া হয়ে গেছে জি বাংলার দর্শকদের এমনটাও বলা যায়।

আসলে ফলাফল যা হয়েছে সেখানে দেখা গেল যে জি বাংলার চারটি সিরিয়াল রয়েছে সেরা পাঁচে। আর স্টার জলসার মাত্র একটি সিরিয়াল ধরাতে পেরেছে জায়গা। ফলে ধরাশায়ী অবস্থা স্টার জলসার। প্রথম স্থানে আগের সপ্তাহের মতোই রয়েছে জগদ্ধাত্রী। আর তার পরে এসে গেছে অনুরাগের ছোঁয়া। দেখতে গেলে বেশ কিছু সপ্তাহ ধরে এই দুই সিরিয়ালের মধ্যে টানটান লড়াই চলছে। কিন্তু দুটোতেই এখন জমকালো এপিসোড।

একদিকে সূর্য আর দীপার একান্ত কিছু মুহূর্ত আর অন্যদিকে আবার সোনা রূপার বাবা মাকে নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। এতদিন ভক্তরা চাইছিল সূর্য আর দীপার কিছু ব্যক্তিগত রোম্যান্সের মুহূর্ত দেখানো হোক। তবুও কাজ হল না। এদিকে জগদ্ধাত্রী ধারাবাহিক পরিবারের কচকচানির বাইরে এক নতুন কেস সমাধান করতে যাচ্ছে জ্যাস সান্যাল। বিষয়টি এই কারণেই আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে ভক্তদের কাছে সেটা বোঝা যাচ্ছে। এদিকে আবার দেখা গেল জি বাংলা নাচের প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান ড্যান্স বাংলা ড্যান্সকে ঘিরে কিছু বিতর্কের ঝড় উঠেছে। অঙ্কুশের সঞ্চালনা অনেকের ভালো লাগছে না আর তার উপর মৌনী, শ্রাবন্তী, শুভশ্রীর নাচ বিশেষ কিছু অবশ্য করার মত নয় বলে দাবি একাংশের। কিন্তু ফলাফল অন্য কথা বলছে। দিদি নাম্বার ওয়ান টিকলো না তার কাছে। তাই পদোন্নতি হলো জি বাংলার সেটা বলাই যায়।

এক নজরে দেখে নিন সেরা পাঁচের তালিকা:

১ম •• জগদ্ধাত্রী ৮.৩
২য় •• অনুরাগের ছোঁয়া ৭.৮
৩য় •• গৌরী এলো ৭.৪
৪র্থ •• নিম ফুলের মধু ৭.২
৫ম •• রাঙা বউ ৬.১

Trending ••
রামপ্রসাদ – ৩.৫
মিঠাই –  ৪.১

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।