Entertainment

Nobel: “আমার শুধু মৃ’ত্যুটুকুই বাকি আছে”! চরম হতা’শা! পুরোপুরি ভে’ঙে পড়লেন বিতর্কিত গায়ক নোবেল

এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সর্বাপেক্ষা বিতর্কিত গায়ক কে? এই প্রশ্নটি করলে যে কেউই প্রথমে নাম নেবেন বাংলাদেশি গায়ক মইনুল আহসান নোবেল (Mainul Ahsan Noble)-এর।পশ্চিমবঙ্গের একটি রিয়েলিটি শোতে গান গেয়ে দারুণ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন বাংলাদেশের গায়ক মইনুল আহসান নোবেল। রাতারাতি খ্যাতির সিঁড়ি বেয়ে উঠে সফলতার মুখ দেখেন এই গায়ক। গান গেয়েও ফেলেন সৃজিত মুখার্জির ছবিতেও।

নিজের বিতর্কিত জীবনযাত্রা, ও বেফাঁস মন্তব্যের কারণে বিভিন্ন সময় শিরোনাম দখল করেছেন এই গায়ক। বর্তমানে নিজের গানের থেকে তিনি বেশি জনপ্রিয় নিজের বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য। কখন‌ও জাতীয় গানের অবমাননা, কখন‌ও কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অসম্মান, কখন‌ও নিজের স্ত্রী সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য বা কখন‌ও ভারত সম্পর্কে কটু কথা তাঁকে দিন দিন ভক্তদের চোখে নীচে নামিয়েছে।

কয়েক মাস আগে তাঁর আক্রমণে নিশানায় ছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাংলাদেশ ও ভারতবর্ষ দুই দেশেরই জাতীয় সংগীতের রচয়িতা বিশ্বকবি। আর তাঁকেই আক্রমণ করেন নোবেল। কালজয়ী কবিকে কটাক্ষ করে তিনি লিখেছিলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম নবী বা দেবতা নন। ফলে তাঁদের গান নিয়ে প‍্যারোডি করাই যায়। তিনি বলেছিলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাকি বাংলাদেশের কবিদের মূল্যায়ণ করতে পারেননি। কিন্তু তার পরেও তাঁকে নিয়ে বাংলাদেশে যে পরিমাণ চর্চা করা হয়, তা তাঁর জন্য অনেক। নোবেল আরও লিখেছিলেন, বাংলাদেশি সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথের অবদান ভীষণই কম, প্রায় নেই বললেই চলে। আর তাই তার গান এদেশের কেউ যদি প্যারোডি আকারে গায় সেটা রবীন্দ্রনাথের জন্যই মঙ্গলজনক।

এরপর এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি ভারতকে অসম্মান করে লেখেন, “আমি কোনও ভারত-টারতের পা চাটি নাই। বরং ভারতবাসী আমার পা ধুয়ে পানি খাইসে। টানা ১১ মাস।” আর এবার ফের একবার তিনি শিরোনামে। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন নোবেল। সেই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমার জীবনে অপ্রত্যাশিত সব কিছুই ইতিমধ্যেই ঘটেছে। মন ভেঙেছে। ম’দ এবং মা’দকে আমি আসক্ত হয়ে পড়েছি। আমার মাথায় রয়েছে ৭০টি স্টিচ। আমার প্রাক্তন স্ত্রী এই পরিণতিতে ভীষণ খুশি। আমার কেরিয়ার এখন সম্পূর্ণভাবে নষ্ট। আমার শুধু মৃ’ত্যুটাই বাকি আছে।’ তাঁর এহেন ইঙ্গিতবাহী পোস্ট ভাইরাল হতে বেশি সময় নেয়নি।

উল্লেখ্য, শেষ লাইনে নোবেল মৃত্যুর উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘এ বার তুমি আমার কাছে আসতে পারো, আমি তোমাকে আলিঙ্গন করতে প্রস্তুত।’ হঠাৎ কেন মৃ’ত্যু ভাবনা এলো শিল্পীর মনে তা খোলসা করেননি তিনি। তাঁর এই পোস্ট দেখে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তাঁর ভক্তরা। অনেকে আবার তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, কেউ কেউ সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।