Bollywood

এসিপি প্রদ্যুম্ন থেকে মোগাম্বো! সরকারি চাকরি ছেড়ে বলিউডে রাজ করছেন যাঁরা

বলিউডের ঝাঁ-চকচকে গ্ল্যামার দুনিয়া কে মিস করতে চায়? এমন অনেক তারকা রয়েছেন যারা সরকারি চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন শুধুমাত্র বলিউডে অভিনয় করবেন বলে। তবে ভাগ্য তাঁদের ফেরায়নি। আজ প্রত্যেকেই তাঁরা সফল এবং নামিদামি ব্যক্তিত্ব।

তালিকায় রয়েছেন দেব আনন্দ থেকে অমরীশ পুরি, দিলীপ কুমার। প্রত্যেকে কোন না কোনভাবে মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যুক্ত হয়েছেন পরবর্তীকালে। তার আগে কেউ উচ্চপদে অথবা কেউ কেরানির পদে চাকরি করেছেন সরকারি সংস্থায়।

থালাইভা অর্থাৎ রজনীকান্ত আগে একজন সরকারি কর্মচারী ছিলেন তিনি বেঙ্গালুরু পরিবহন সংস্থার অন্তর্গত সরকারি বাসের কন্ডাক্টর ছিলেন। ১৯৭৫ সালে বড় পর্দায় পা রাখেন। দিলীপ কুমার অর্থাৎ মহম্মদ ইউসুফ খান পুনেতে কর্মরত ছিলেন। সেখানে তিনি সেনা শিবিরের ক্যান্টিনে কাজ করতেন। হঠাৎ বলিউড অভিনেত্রী দেবিকা রানীর চোখে পড়ে যান দিলীপ কুমার এবং তিনি প্রথম দিলীপ কুমারকে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

বলিউডের অভিনেতা দেব আনন্দ মুম্বাইতে এসেছিলেন কর্মসূত্রে। চার্জগেট এলাকায় সেন্সর বোর্ডের অফিসে কেরানীর পদে চাকরি করতেন তিনি। তারপর সিনেমায় যোগ দেন।

দেব আনন্দ থেকে অমরীশ পুরী, দিলীপ কুমার থেকে অমল পালেকর সকলেই কোনও না কোনও সরকারি সংস্থার কর্মী ছিলেন। কেউ উচ্চপদে চাকরি করতেন, আবার কেউ কেরানি পদেও চাকুরিরত ছিলেন।

অমল পালেকর শুধু বলিউড মারাঠি নাট্যজগতেও উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব। মারাঠি সিনেমার হাত ধরে অভিনয় জগতে আত্মপ্রকাশ। এর আগে তিনি একটি গণ্যমান্য সরকারি ব্যাংক সংস্থার কর্মী ছিলেন। অভিনেতা কুলভুষণ পণ্ডিত ওরফে রাজ কাপুরের প্রথম সিনেমা ১৯৫২ সালে মুক্তি পেয়েছিল কিন্তু তার ১২ বছর আগে মুম্বইয়ে চলে এসেছিলেন তিনি। কারণ তখন তিনি মুম্বাই পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর পদে কাজ করতেন।

এবার আসা যাক বলিউডের মোগাম্বো অর্থাৎ অমরীশ পুরির কথায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। তবে অভিনয় করার আগে একটি সরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। ‘সিআইডি’ হিন্দি ধারাবাহিকের এসিপি প্রদ্যুম্ন অর্থাৎ শিবাজি সতম একটি সরকারি ব্যাঙ্কে ক্যাশিয়ার পদে কাজ করতেন আগে।

Piya Chanda