Entertainment

Durga-Durgati: আজ বাদে কাল মহালয়া, KLIKK এ আসছে মন ছোঁয়া গল্পের শর্ট ফিল্ম দুর্গা দুর্গতি!একবার হলেও দেখতে হবে সিনেমাটা নইলে অপূর্ণ থাকবে পুজো

আরতো মাত্র একদিন বাকি তারপরেই বাঙালির ধুমধাম আনন্দ শুরু হয়ে যাবে। পরিবেশটা কিরকম পাল্টে যায় না এই দশটা দিনের জন্য।যে যেখানেই থাকুক আর কারোর সাথে ঝগড়া করতে ইচ্ছা করে না। অফিস থেকেও সকলের ছুটি থাকে তবে জরুরী পরিষেবা ক্ষেত্র বাদে।অন্যদিকে বিনোদন জগতে পুজো একটা বিশাল বড় ইভেন্ট। সেই জন্য পূজা উপলক্ষে চতুর্দিকে সিনেমা বিভিন্ন স্পেশাল প্রোগ্রাম রিলিজ হচ্ছে। অভিনেতা অভিনেত্রীরা পুজো স্পেশাল ফটোশুট করছেন।

এবারে জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম KLIKK এ দুর্গা পুজো উপলক্ষে মুক্তি পেতে চলেছে বিশেষ শর্ট ফিল্ম দুর্গা দুর্গতি। গল্পটা ভীষণ অভিনব। সারসংক্ষেপ টুকু দেওয়া যাক।
a 1

22/A রঞ্জন রায় প্রিন্টার্স এর মালিক বর্তমানে লেখিকা অপরাজিতা রায়। তবে লেখালেখি এখন আর সেভাবে হয়ে ওঠে না। রবিদা, ছোটকা অনেকটা ব্যবসার কাজ সামলালেও যাবতীয় প্রুফ চেকিং, ম্যাগাজিন, গল্পের বই এবং পূজোসংখ্যার প্রচ্ছদ অপাকেই তৈরী করতে হয়। আর পূজো আসলেই বিভিন্ন ক্লাবকর্তৃপক্ষের ভিড় উপচে পড়ে বাগবাজারের এই বায়বাড়ির একতলায়।ভিড় হবে নাইবা কেন??

b 1

দুর্গাপুজো বাঙালীর আবেগ আনন্দের উচ্ছাস। সারাবছর যারা বাড়ি ফেরার সময় পায় না; একমাত্র এই দুর্গাপুজোই তাদের কাছে বাড়ি ফেরার চান। পুজোর সাতটা দিন, হই হই করে লাইনে দাঁড়িয়ে পূজো দেখা, ধাক্কাধাক্কি-ঠেলাঠেলি করে হলেও পূজো দেখা, কেননা ব্লকবাস্টার দুর্গা আর সুপারস্টার থিম দর্শন করতেই হবে। কোথাও পুজোর সাবেকিকরণ বা লক্ষ্য হয়ে ওঠে উপলক্ষ্য, আর উপলক্ষ্য ক্রমে লক্ষ্যে পরিণত হয়। শহর কলকাতার বুকে এই সাতটা দিন যেন কার্নিভাল।

c

গত বছর এইরকমই একটা দুর্গা পুজোয় মজা করতে করতে আনন্দ করতে করতে সোনার ঠাকুর দেখার লাইনে দাঁড়িয়েছিল অপরাজিতা, ওর স্বামী রঞ্জন এবং ওদের একমাত্র সন্তান বছর পাঁচেকের রিকু। বিড়ির মণ্ডপ সোনার প্রতিমা দেখতে গিয়ে আকস্মিক ভাবেই বদলে যায় অপরাজিতার জীবন। পুজো শুধু আনন্দই আনে না।

d

অবশ্য এরপরেও রুদ্ধশ্বাস ভিড়েও প্রতিমা দর্শন করার জন্যেও লাইনে দাঁড়িয়েছেন অগনিত দর্শনার্থী, চলেছে পুরস্কার বিতরনী, রাজনৈতিক চর্চা হয়েছে খবরে খবরে। সারা বাড়ি মাতিয়ে রাখা রিকু রঞ্জন আজ স্মৃতির পাতায়। এই ঘটনা অপরাজিতার একার নয়। প্রত্যেক বছরই এইরকম দুর্ঘটনা কোথাও না কোথাও ঘটেই থাকে। কিছু তথ্য উঠে আসে, তো কিছু তথ্য হারিয়ে যায় অজ্ঞাতেই।

e

কিন্তু যার বদল হয়. একমাত্র তারই বদল হয়। সেই জানে যে সে কি হারিয়েছে। এইভাবে দুর্গতিনাশিনীর আগমনও কারও কারও জীবনে দুর্গতির কারণ হয়ে ওঠে অজান্তেই। তবে অপরাজিতাও ধীরে ধীরে ফিরছে তার স্বাভাবিক জীবনে। পরিবারের অমতেও সে ওই অন্ধকার ছাপাখানায় বসেই আজ রজনের স্বপ্নকে আলোকিত করতে মরিয়া। জীবন কখনো থেমে থাকে না। লেখিকা অপরাজিতা রায়ের বিশ্বাস যে ‘পৃথিবীর সব পাণ্ডুলিপিগুলিকেই আলোর গল্প হয়ে উঠতে এইরকম এক একটা অন্ধকার ছাপাখানার প্রয়োজন।’

g

তাহলে বুঝতেই পারছেন গল্পটা কতটা আকর্ষণীয় হতে চলেছে। চরিত্রগুলোতে রয়েছে টলিউডের এর নামকরা সব মুখ।সুদীপ সাজবেন সুদীপ মুখার্জী মানে শ্রীময়ীর অনিন্দ্য। বিমান ভূষণ জানা সাজছেন ভাস্কর ব্যানার্জী অর্থাৎ ধুলোকণাতে চড়ুই এর বাবা।অনীল দেব সাজছেন কৌশিক ব্যানার্জী অর্থাৎ যমুনা ঢাকিতে যমুনার শ্বশুর। শিশু চরিত্রে দেখা যাবে লাড্ডুকে যাকে আমরা ডান্স বাংলা ডান্স জুনিয়রের মঞ্চে দেখতে পাচ্ছি সঞ্চালক হিসেবে।আমার মালতী হিসেবে দেখা যাবে পিংকি ব্যানার্জিকে অর্থাৎ কাঞ্চন মল্লিকের দ্বিতীয় স্ত্রী যিনি এখন লালকুঠিতে অভিনয় করছেন।
পরিচালক হলেন রূপম পাল। যার কাছ থেকে আমরা এর আগে টলিউডের ভালো কাজকর্ম পেয়েছি এবং এডিটিং কে করেছেন জানেন? পুরস্কারপ্রাপ্ত এডিটর অর্ঘ্যকমল মিত্র।

গীতিকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অর্থাৎ এখানে সমস্ত রবীন্দ্র সংগীত আপনারা শুনতে পাবেন।গায়িকা শ্রাবণী সেন, তার পরিচয় তো আলাদা করে দিতে হবে না।

বাগবাজার সার্বজনীন, কলেজ স্ট্রিট, কুমোরটুলি, শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় ইত্যাদি জায়গায় শুটিং হয়েছে অর্থাৎ মূলত নর্থ কলকাতাকেই বেছে নিয়েছেন পরিচালক। তাই পুজোর অলস দুপুরে ভালো করে পেট পুজো করে দেখে ফেলুন এই সিনেমাটি। খারাপ লাগবে না কথা দিয়েছেন পরিচালক নিজেই।

Nira