মিঠাই এবং সিদ্ধার্থের জীবনে একের পর এক বিপদ এসেই চলেছে। আগে ওমি আগারওয়াল ছিল এবং এখন তার দাদা আদিত্য আগারওয়াল আবার সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে কাউন্সিলর প্রমিলা লাহাকে। যাতে তারা দুজন মিলে মিঠাইদের ওপর বিপদ আনতে পারে।সেই অনুযায়ী তারা দুজন প্ল্যানিং করে মিঠাইদের বাড়ি ছাড়া করে।
তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দেয় তাদেরকে সব দিক দিয়ে বিপদে ফেলার চেষ্টা করে। কিন্তু মোদক পরিবার একজোট হয়ে সেই বিপদের মোকাবিলা করে এবং অবশেষে মিঠাই এবং সিদ্ধার্থ মিলে প্রমিলা লাহার এক গুন্ডা ঘোঁচুকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
এবার রুদ্র ঘোঁচুকে নানা রকম ভাবে মানসিক চাপে ফেলার চেষ্টা করে। রুদ্র ঘোঁচুকে বলে যে সে যদি আসল দোষীর নাম বলে দেয় তাহলে তার ছেলে তাকে একজন অপরাধী মনে করবে না। আর সিদ্ধার্থ তাকে একটা কাজও দেবে। সেই কথা শুনে ঘোঁচু ভাবতে থাকে যে সে কী করবে।
তখনই একটি পুলিশ অফিসার এসে তাকে একটা চিরকুট দেয়। এবং তাতে লেখা থাকে যে সে যদি প্রমিলা লাহার নাম নেয় তাহলে তার জন্য ভালো হবে না। তখন ঘোঁচু ভাবে যে সে কোনভাবেই প্রমিলা লাহার নাম নিতে পারবে না ।তাই সে অন্য একজনের নাম নেয় যে মনোহরার জমিটা কিনতে চেয়েছিল।
এবার রুদ্র সেই লোকটাকে ধরে আনে আর তখন সেই লোকটা স্বীকার করে যে সেই ঘোঁচুকে দিয়ে সোনার বাটগুলো মনোহরাতে রাখিয়েছিল।তারপরে রুদ্র মনোহারার সিল খুলে ফেলতে বলে এবং মোদক পরিবার সকলে মিলে মনোহরাতে প্রবেশ করে।তারা সেখানে একটি পুজোর আয়োজন করে।নিজেদের বাড়ি ফিরে পেয়ে তো বেজায় খুশির মোদক পরিবার। সেই পুজোতে তারা নিজেদের বাড়ির সুখ শান্তির জন্য গঙ্গার জল ছেটায়, আগুনের তাপ দেয় এসব আনন্দের মাঝেই আজকের এপিসোড শেষ হয় মিঠাইয়ের।
বেশ কিছুদিন ধরে মিঠাই টিআরপি তালিকা শীর্ষ থেকে নেমে এসেছিল। তারা মনোহরা ছাড়তেই তাদের টিআরপি পয়েন্ট অনেকটাই কমে গিয়েছিল। দর্শক তাদের নতুন গল্পের মোর একদমই পছন্দ করছিল না। তাই এবার আবার মিঠাইকে নিজের ছন্দে ফিরতে দেখে বেজায় খুশি দর্শক। তারা মনে করছে মনোহরা ফিরে পাওয়ার পরে আবার আগের মতই মোদক পরিবারের খুনসুটি দিয়ে ভরে উঠবে মিঠাই ধারাবাহিকটি।
