Tollywood

Aindrila-Sabyasachi: ‘‘মানুষের গায়ে বড়ই শকুন শকুন গন্ধ”! ঐন্দ্রিলার খবরে RIP লিখে আসা নেটিজেনদের খোলা চিঠি দিলেন সব্যসাচী

গত দুই সপ্তাহেরও বেশি ধরে মেয়েটা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। বলা চলে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে গোটা বাংলার বহু মানুষ প্রার্থনা করছে একটা মেয়ের সুস্থতা কামনায়। দেখতে দেখতে এতগুলো দিন পার। ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার পরে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, অবস্থা সেভাবে উন্নত হওয়ার আগেই গত বুধবার সকালে আবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় অভিনেত্রীর।

তারপরেই বুধবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে অভিনেত্রী ও মৃত্যুর খবর। তারপরে বন্ধু সব্যসাচী চৌধুরী সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানান অবস্থান উন্নতি না হলেও অভিনেত্রী এখনো বেঁচে রয়েছেন আর এমন ভুয়া খবর যেন না ছড়ানো হয়।

কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়াতে সবাইকে কিছু অলৌকিক ঘটার জন্য প্রার্থনা করার কথা বলেছিলেন সব্যসাচী। বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছিল, হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর তখনও পর্যন্ত তেমন উন্নতি হয়নি ঐন্দ্রিলার। তাঁর রক্তচাপ ওঠানামা করছে। সংক্রমণের জন্য চলছে কড়া কড়া ওষুধ। বাড়ানো হয়েছে অ্যান্টিবায়োটিকের মাত্রা। চোখ খুলছেন না। পুরো অসাড়। মুখের কোনও প্রতিক্রিয়া নেই। শুক্রবার সকাল অব্দি, এমনই খবর পাওয়া গিয়েছিল।

তারপর হঠাৎই শুক্রবার রাতে সব্যসাচী একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে সবাইকে জানান ঐন্দ্রিলার স্বাস্থ্যের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সে দীর্ঘ পোস্টের শুরুতে সব্যসাচী লিখেছেন, কয়েক হাজার মানুষের নিঃস্বার্থ ভালবাসার জন্য তাঁর এতখানি লেখা প্রয়োজন ছিল।

তিনি আরো লিখেন, ‘‘বুধবার সকালে ঐন্দ্রিলার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়, চোখের সামনে দেখলাম ওর হার্টরেট ড্রপ করে চল্লিশের নীচে নেমে তলিয়ে গেল, মনিটরে ব্ল্যাঙ্ক লাইন, কান্নার আওয়াজ, তার মাঝে ডাক্তাররা দৌড়াদৌড়ি করছেন। কয়েক মিনিটের মধ্যে হৃদস্পন্দন ফের ফিরে এল…।’’

এর পরে কী ভাবে গত দু’দিন কেটেছে সে কথাই লিখেছেন সব্যসাচী। ‘‘মানুষের গায়ে আজকাল বড়ই শকুন শকুন গন্ধ পাই। গত দু’দিন ধরে হাসপাতালের নীচে বেশ ভিড় জমেছিল, ওর অবস্থার উন্নতি ঘটাতে কাল রাত থেকে একেবারে খাঁ খাঁ করছে।’’ ঐন্দ্রিলার লড়াইয়ের কথা বলতে গিয়ে অভিনেত্রীর বার বার ফিরে আসা’র কথাও লিখেছেন সব্যসাচী। তিনি লিখেছেন, ‘‘এক প্রকার অনন্ত শূন্য থেকে এক ধাক্কায় ছিটকে ফিরে এল মেয়েটা। গেছে বললেই ও যাবে না কি, যেতে দিলে তো যাবে।’’

Nira