Tollywood

“করে খাচ্ছ খাও, বেশি কথা বললে না রগড়ে দেব”! মাঝরাস্তায় প্রসেনজিৎকে ধমক চমক সোহিনী সেনগুপ্তর

প্রকাশ্যে রাস্তায় ভর্তি লোকের সামনে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে হুমকি। চোখ রাঙিয়ে বলে উঠলেন “এই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। করে খাচ্ছ, করে খাও। বেশি কথা বললে না রগড়ে দেবো”। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টারকে এমন হম্বিতম্বিভাব দেখালেন কে? কেন করলেন এমন?

ইনি হলেন অভিনেত্রী সোহিনী সেনগুপ্ত। নায়িকার এই শাসানির পর হাততালি দিয়ে উঠলেন বুম্বাদা। স্টার থিয়েটারে মুক্তি পেয়েছেন প্রসেনজিতের আগামী ছবি “আয় খুকু আয়” – এর প্রচার ঝলক। প্রযোজনা করেছে জিৎ প্রোডাকশন। অভিনব প্রচার কৌশল। আর এই সমস্তই ছিল প্রচার কৌশলের অংশ। সাধারণত দেখা যায় টলিউডে কোন ছবি মুক্তির আগে দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত শপিংমল বা আইনক্স বেছে নেওয়া হয়। এক্ষেত্রে তেমনটা নয়।

প্রসেনজিতের সৌজন্যে বহু যুগ পর উত্তর কলকাতার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল বাংলা ছবির এক প্রচার ঝলক। ধামাকাদার সংলাপ দিকেই সকলকে চমকে দিয়েছেন রুদ্রপ্রসাদ এবং স্বাতীলেখা সেনগুপ্তের মেয়ে সোহিনী। পর্যায়ে তিনি বিধায়ক পুতুল রানী বাগচী। অন্যদিকে প্রসেনজিৎ এক সাদামাটা লোকাল ট্রেনের হকার নির্মল মন্ডল।

বাবা মেয়ের সম্পর্কের কাহিনী স্থান পাবে এই গল্পে। 17 ই জুন বড় পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে। তার আগে ছবির ট্রেলার মুক্তি পেল। নিম্নবিত্ত পরিবারের অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদ দেখা যাবে এই সিনেমায়। ধরনের ভালোবাসা শাসন অভিমান, আদর সব স্থান পেয়েছে। সেইসঙ্গে আসবে রাজনীতিও।

রণজয়ের নিজের লেখা গানের সুরে আয় খুকু আয় খুকু আয় চাঁদ মামা টিপ দিয়ে যা গান থাকবে। প্রচার ঝলক মুক্তির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রসেনজিৎ, সোহিনী, দিতিপ্রিয়া, স্যাভি, প্রযোজক মডনানি প্রমুখ। এখনও কন্যা সন্তান হলে পরিবারে বলা হয় লক্ষ্মী এলো কিন্তু তারপরেও সেই মেয়েদের নিয়ে চিন্তা উদ্বেগ থেকে যায়। যত্ন করার পর সেই মেয়ে পর হয়ে যাবে।

বাস্তবে প্রসেনজিৎ নিজেও একজন বাবা তবে পুত্রসন্তানের। গল্পে একটি সংলাপ খুব পছন্দ বুম্বাদার। বাড়িতে লক্ষ্মী আসার পর মা রফিয়াত রশিদ মিথিলা বলেন “মেয়ে হয়েছে গো মেয়ে”। অভিনেতা বলেন এই অনুভূতি কেবল মা-বাবারাই বুঝবেন।

Tolly Tales