Entertainment

কেকের হৃদযন্ত্রের পাশে জমেছিল পুরু মেদ! শেষদিনও বুঝতে পারেননি, খেয়েছেন দশটা ওষুধ

কলকাতায় লাইভ কনসার্ট। তারপর আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়লেন এবং শেষে এই শহরেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন গায়ক কেকে। এই মৃত্যু নাড়া দিয়েছে সঙ্গীতপ্রেমীদের। হতবাক করেছে কলকাতাবাসীকে। বিশেষ করে যারা এই অনুষ্ঠান দেখতে গিয়েছিল দর্শক হিসেবে তারা সকলেই অবাক যে যেই মানুষটি তিন ঘণ্টা আগেও জ্বলজ্যান্ত ছিলেন, রীতিমতো স্টেজ কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন তিনি হঠাৎ করে এভাবে নিথর হয়ে গেলেন কিভাবে?

তবে এই প্রশ্নের উত্তরে বেশ কয়েকটি বিষয় সামনে উঠে এসেছিল। কলকাতার প্রচন্ড গরম, তার উপরে আসনসংখ্যার চেয়ে প্রায় তিন গুণেরও বেশি দর্শকসংখ্যা ছিল মঞ্চে। এগুলো কি আসল কারণ? কাউকে মৃত্যুর পর দেহ ময়না তদন্তের মাধ্যমে জানা গেল মৃত্যুর কারণ।

কেকে অনুষ্ঠানের পর অসুস্থ বোধ করেন এবং সেই সময় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার একটি বিখ্যাত হোটেলে যেখানে তাঁকে অনুষ্ঠানের জন্যে রাখা হয়েছিল। কিন্তু অবস্থার অবনতি হতে থাকায় সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় একটি হাসপাতালে। জানা যায় সেখানেই নাকি চিকিৎসকেরা গায়ককে মৃত বলে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন সমস্যা একদিনের নয় গায়কের হৃদযন্ত্রে মারণ রোগ বাসা বেঁধেছিল বহুদিন আগে থেকে। তিনি সেটা বুঝতে পারেননি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসতেই অবাক হয়ে গেলেন চিকিৎসকরা। কেনো?

আসলে রিপোর্টে দেখা গেল কেকের হৃদপিন্ডের চারপাশে মেদের একটা আস্তরণ হয়েছে। সেটি সাদা হয়ে গিয়েছিল। হৃদপিন্ডের মোড়ক খুলতেই দেখা যায় কপাটিকাগুলি অস্বাভাবিক শক্ত। পুলিশ সূত্রে এ খবর জানা গিয়েছে।

তবে শুধু এটুকুই নয়, কেকের শরীর থেকে পাওয়া গেছে ১০ রকমের হজমের ওষুধ এবং ভিটামিন সি। তিনি নিয়মিত হজমের সমস্যার গন্ডগোলের জন্যে মুঠো মুঠো অ্যান্টাসিড এবং গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেতেন। শুধু অ্যালোপ্যাথি নয়, আয়ুর্বেদিক এবং হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাও করাতেন। সেই ওষুধগুলির হদিস মিলেছে পাকস্থলীতে।

৩১ মে গায়ক নিজে ম্যানেজারকে বলেছিলেন শরীরে জোর নেই। সেই রাতে মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে স্ত্রীকে বলেছেন কাঁধ এবং বহু কনকন করছে। তবুও মঞ্চে উঠেছিলেন অনুরাগীদের ভালোবাসার অনুরোধ রাখতে।

Piya Chanda