Food

শীত শীত ভাবের শুরুতে প্লেটে পড়ুক গরম গরম মাছের কচুরি! রইলো রেসিপি 

নভেম্বরের শুরুর দিক মানেই হেমন্ত শেষ হয়ে শীতের আভাস দিচ্ছে। ভোরের দিকে একটু একটু ঠান্ডা লাগে। শীত শুরুর এই আমেজে সন্ধ্যেবেলায় অফিস থেকে এসে গরম গরম খেতে বেশ ভালোই লাগে। আবার চাইলে রাতে ও এই ধরনের গরম কিছু তৈরি করে নেওয়া যায় যা চটজলদি হবে আবার মনের তৃপ্তি দেবে।

আজ রইল মা-ঠাকুমার আমলের একটি পুরনো রেসিপি যার নাম মাছের কচুরি। অনেকেই হয়তো এর সঙ্গে পরিচিত আবার অনেকেই এখনকার প্রজন্ম যারা বিশেষ করে তাদের কাছে এটা নতুন নাম। তাই সকলের জন্য মিলেমিশে রইল একটা সহজ রেসিপি। সন্ধ্যেবেলায় চায়ের সঙ্গে অথবা রাতে ডিনারে যে কোন নিরামিষ পদের সঙ্গে চাইলে রাখতে পারেন এই কচুরি। সঙ্গে গরম গরম আলুর দম হলে জমে যাবে ব্যাপারটা।

উপকরণ:

কচুরির জন্য

ময়দা : ২ কাপ

ঘি : ২ টেবিল চামচ

নুন : স্বাদ অনুযায়ী

গরম জল : ময়দা মাখার জন্য

তেল : ২ কাপ

পুরের জন্য

ভেটকি মাছ : ৩০০ গ্রাম

পেঁয়াজ : ১টি

রসুন : ২-৩ কোয়া

আদা : ছোট এক টুকরো

হলুদ গুঁড়ো : আধ চা চামচ

লঙ্কা গুঁড়ো : ১ চা চামচ

পাঁচ ফোড়ন : ১ চা চামচ

ভাজা জিরে গুঁড়ো : ১ চা চামচ

গরম মশলা : ১ চা চামচ

কাঁচা লঙ্কা : ৩-৪টি

সরষের তেল : ২ টেবিল চামচ

পাতি লেবু : ১টি

ধনে পাতা : আধ কাপ

নুন : স্বাদ অনুযায়ী

চিনি : এক চিমটে

পদ্ধতি: ময়দা ভাল করে চেলে নিয়ে অল্প একটু নুন এবং ঘি মিশিয়ে নিন। ময়দা ঝুরঝরে হয়ে গেলে হালকা গরম জল দিয়ে মাখুন। মাছের ফিলেগুলো ছোট ছোট টুকরো করে রেখে দিন। কাঁটা থাকলে ছাড়িয়ে রেখে দেবেন। কড়াইয়ে সরষের তেল গরম করে পেঁয়াজ, রসুন এবং আদা বাটা দিয়ে কিছু ক্ষণ নাড়াচাড়া করুন। মেশান অল্প হলুদ, লঙ্কা, জিরে গুঁড়ো। মাছের টুকরোগুলি দিয়ে নাড়ুন। দিন লঙ্কা কুচি, নুন, অল্প চিনি। একটু নাড়াচাড়া করে গ্যাস বন্ধ করে দিন। উপর থেকে ছড়িয়ে দিন লেবুর রস এবং ধনে পাতা। ঠান্ডা হলে হাত দিয়ে চটকে মাখুন। মেখে রাখা ময়দা থেকে ছোট ছোট লেচি কেটে ভিতরে মাছের পুর ভরে হালকা করে বেলে নিন। কড়াইয়ে সাদা তেল গরম হতে দিন। ডুবো তেলে কচুরি ভেজে তুলুন প্লেটে। সঙ্গে দিতে পারেন কোনো নিরামিষ পদ।

 

Nira