Viral

Shreya Ghoshal: শ্রেয়া দিদিকে দেখে কান্না ধরে রাখতে পারল না ফ্যান! জড়িয়ে ধরে শান্ত করলেন শ্রেয়া! “কী অসাধারণ মানুষ”, মুগ্ধ আম জনতা

সেলিব্রেটিদের সম্পর্কে একটি বিষয় সবসময় শোনা যায় যে গর্বে তাদের পা মাটিতে পড়ে না। একবার কেউ সেলিব্রিটি তকমা লাভ করলে তারপর সে আর ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যায় এমনটাই মনে করা হয়। তবে এই মানুষদের তারকা বা সেলিব্রিটি বানায় সাধারণ মানুষই।

যদিও এই সত্য বচন খুব কম শিল্পী মনে রাখতে পারে। তবে তাদের মধ্যে যার নাম না নিলেই হয় সে হলো গোটা পৃথিবীর বিখ্যাত এক বাঙালি গায়ক অরিজিৎ সিং। হ্যাঁ, এই নামটা উচ্চারিত হলেই অতি সাধারণ মাপের, মাটির মানুষ ইত্যাদি উপমা উড়ে আসে। তবে সেগুলো প্রকৃত সত্য এটা অস্বীকার করার উপায় নেই।

তবে এবার আর অরিজিৎ নয়, ভাইরাল হলেন শ্রেয়া ঘোষাল। আরেক বাঙালি গায়িকা যার কণ্ঠে স্বয়ং সরস্বতীর বাস। কন্ঠের মাধুর্য পার করেছে দেশের সীমানা। অসংখ্য বাঙালি, অবাঙালি এবং অন্যান্য বিভিন্ন ভাষার ভক্তরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে দেশজুড়ে এবং বিদেশজুড়ে। এ হেন গায়িকার স্টারডম কেমন হবে সেটা অনুমান করাই যায়।

কিন্তু না, এখানেই সবাইকে অবাক করে দিলেন শ্রেয়া। তিনি যে সত্যিই স্নেহের যোগ্য সেটা আবার প্রমাণ করলেন। পাশাপাশি এটাও দেখিয়ে দিলেন যে শুধু প্রতিভা থাকলেই সেরা হওয়া যায় না, সবার আগে মনুষত্ব থাকতে হয়। সেটা যে শ্রেয়ার মধ্যে ১০০% উপস্থিত সেটা এই ভিডিও দেখলেই বুঝতে পারবেন।

নিজে এক ফ্যানকে জড়িয়ে ধরলেন তিনি। কেন? কারণ সেই ভক্ত নিজের চোখের সামনে তার প্রিয় গায়িকাকে দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারেনি। রীতিমতো আবেগে ভেসে গেছে এবং দুই চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়েছে। তার পছন্দের দিদির জন্য গিফট নিয়ে যাবার পর সে ভাবতে পারেনি এতটা ভালোবেসে সেই গিফট গ্রহণ করবেন শ্রেয়া ঘোষাল। তাই আবেগে আপ্লুত হয়ে যায় সেই ভক্ত। নিজেই সেই ভিডিও শেয়ার করেছে সে। তাকে কাঁদতে দেখেই নিজেই জড়িয়ে ধরে তাকে শান্ত করলেন গায়িকা। তারপর তার অনুরোধে শ্রেয়া একটা অটোগ্রাফও দিলেন।

আর এই ভিডিও মন জিতে নিলো সোশ্যাল মিডিয়ার। একজন মানুষ যিনি এত বড় মাপের স্টার তার মধ্যে তার বিন্দুমাত্র লক্ষণ প্রকাশ তো পেলো না উপরন্তু নিজেই এগিয়ে এলেন ভক্তের স্বপ্নকে সত্যি করতে। গিফট নিয়ে তাকে আশীর্বাদ জানালেন শ্রেয়া। রইল সেই ভিডিও।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।